• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৬:১৮ পিএম
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

ঢাকা: স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৭ রানের জয়ের লক্ষ্য ২০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে অর্ধশতক তুলে নেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শফিউল ইসলামের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়েন ফেরেন আহসান আলী। 

দলীয় ৬ রানে আউট হওয়ার আগে রানের খাতা শূন্য রয়ে যায় আহসান আলীর। তবে এরপরেই অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গী করে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ উভয়ই তুলে নেন অর্ধশতক। আর তাতেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে স্বাগতিকরা। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ দুইজনই তুলে নেন অর্ধশতক। অধিনায়ক বাবরের ৬৮ এবং মোহাম্মদ হাফিজের ৬৭ রানে ২০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। আর সেই সঙ্গে নিশ্চিত করে সিরিজ জয়ও। এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতে ১-০'তে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান।বাংলাদেশের হয়ে তিন ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে সফরকারীরা।  শনিবার (২৫ জানুয়ারি) পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানে আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রথম ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা নাঈম এদিন ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মেহেদি হাসান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ায়ের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। 

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ১১ রানে আউট হওয়া এ অলরাউন্ডার দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে করেন ১২ বলে মাত্র ৯ রান। ৪.২ ওভারে দলীয় ২২ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মেহেদী। তার আগে ১২ বলে একটি ছক্কায় ৯ রান করে ফেরেন তিনি। হাসনাইনের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু সরফরাজের বদলে দলে জায়গা পাওয়া উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান কটবিহাইন্ড করার সুযোগ পেয়েছিলেন। 

কিন্তু ক্যাচটি তিনি গ্লাভস বন্দি করতে পারেননি। ১৬ রানে লাইফ পান তামিম। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরতে পারেননি জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে শাদাব খানের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এদিকে, শুরু থেকেই বেশ দেখে শুনে খেলছিলেন এই টাইগার ওপেনার।৬ষ্ঠ ওভারে রেজওয়ানের বলে প্রথম জীবন পান এই টাইগার ওপেনার। ৪৫ রানে আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ করে পান দ্বিতীয় বারের মতো জীবন। ম্যাচের ১৫ তম ওভারের প্রথম বলেই ডিপ কভারে শাদাব খানের বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েই তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭ম অর্ধশতক।

কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির করে বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ইমাদ ওয়াসিমের ছোড়া দুর্দান্ত এক বলে ১ ছয় ৭টি ৪ হাঁকিয়ে ৫৩ বলে ৬৫ রান করেন। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে হারিস রউফের করা প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১২৬ রানে ১২ বলে ১২ রানে ফেরেন তিনি।

আমিনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে যান সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানে ইনিংস গুটায় বাংলাদেশ। ৪ বলে ৮ আর ৫ বলে ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন বিপ্লাট ও সৌম্য। 

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন।

পাকিস্তান একাদশ: এহসান আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান), শাদাব খান, হ্যারিস রউফ, শাহীন আফ্রিদী, মোহাম্মদ হাসনাইন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!