• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাতিল হচ্ছে শিক্ষকদের ছুটি!


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৮, ২০২০, ১২:১৩ পিএম
বাতিল হচ্ছে শিক্ষকদের ছুটি!

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে ছুটি চলছে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা সাড়ে পাঁচ মাস দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।

১২ মাস মেয়াদি শিক্ষাবর্ষের প্রায় অর্ধেক সময় এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আসছে “রিকভারি প্ল্যান-২০২০”।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ও কারিকুলাম নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কারিকুলাম শাখা, দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) কারিকুলাম বিশেষজ্ঞরা একযোগে কাজ করছেন।

প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণির সিলেবাস কমানো হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন সংশ্নিষ্ট শ্রেণির নির্ধারিত দক্ষতা অর্জন করেই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারে, সে দিকটি মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যগুলো নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিলেবাস।

আগামী সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে- সেটা ধরে নিয়ে এ পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছুটি কমিয়ে দুই মাস টানা ক্লাস নিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

আর সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠান না খোলা গেলে আগামী বছরের অন্তত দুই মাস বর্তমান শিক্ষাবর্ষের সঙ্গে যুক্ত করে ২০২০ শিক্ষাবর্ষ শেষ করা হবে। সে ক্ষেত্রে স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া হবে। আর ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ হবে ১০ মাসের।

শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে এসব পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। সংশ্নিষ্টরা জানান, এ বছর প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি-জেডিসিসহ সব পরীক্ষাই বহাল থাকছে। সিলেবাস কমিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্তত টানা দুই মাস পাঠদান করিয়ে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রয়োজনে সময় কমিয়ে আনতে পরীক্ষার বিষয় কাটছাঁট এবং কিছু বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হতে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, একাধিক বিকল্প চিন্তা আমাদের রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, তার ওপর। করোনার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটিতে থাকছে।

যদি এ ছুটি করোনার কারণে আরও বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা আগামী বছরের দু-এক মাস সময় নিয়ে এই শিক্ষাবর্ষ শেষ করার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, করোনার প্রকোপ কমলে এবং খোলার উপযোগী হলে তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!