• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাধ্য হয়ে কৃষকরাই পরিস্কার করলেন সরকারি সেচখাল


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৩:০৬ পিএম
বাধ্য হয়ে কৃষকরাই পরিস্কার করলেন সরকারি সেচখাল

ঝিনাইদহ : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোডের গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প কর্মকর্তাদের অনীহা আর অবহেলায় দীর্ঘদিন পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় খালের আর্জনা বাধ্য হয়ে নিজেরাই পরিস্কার করলেন কৃষকরা।

আগাছা ও কচুরিপনার কারণে প্রায় সাড়ে পাঁচশ হেক্টরের বেশি জমিতে সেচের পানি পাচ্ছিলো না।  উপায়ান্তর না দেখে শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের দু’শতাধিক মানুষ এস-নাইন-কে খালের মধ্যে জমে থাকা দীর্ঘদিনের আগাছা, কলাবাগান, কচুরিপানাসহ সব আবর্জনা নিজেরাই পরিস্কার করলেন।

মনোহরপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, এস-নাইন-কে সেকেন্ডোরি খালের টি-৮, ৯ ও ১০ টার্সারি খালের আওতায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় খালকুলা, পাঠানপাড়া, হেতামপুর, হাজরামিনা, বিজুলিয়া, মনোহরপুর, দামুকদিয়া গ্রামের সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সেচসুবিধা দানের জন্য পাকিস্তান আমলে খালগুলো খনন করা হয়। কিন্তু তিনটি মৌসুমের কোনটিতেই বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সেচের পানি সরবরাহ দিতে পারেনা।

কৃষকরা গতবার একইভাবে কিছু অংশ স্বেচ্ছাশ্রমে পরিস্কার করলেও তা সংস্কার না করায় আবার আগাছা ও ময়লা অবর্জনায় পানি সরবরাহের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মাসের পর মাস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে তারা বাধ্য হয়ে পরিস্কার করেছেন।

সেচখাল পরিস্কারে নেতৃত্বদানকারী মিয়া রাশিদুল হাসান জানালেন, তাদের এই খাল পরিস্কার কর্মকান্ড একদিকে যেমন সুষ্ঠু সেচের পানি সরবরাহের মাধ্যমে ফসল ফলতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্লজ্জতা ও নির্লিপ্ততার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।
এ ব্যাপরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের শৈলকুপা শাখা অফিসার বিকর্ণ কুমারের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, ‘কৃষকদের বৃহত্তর স্বার্থে’ তিনি এবং বড়কর্তারা কর্মপরিচকল্পনা প্রনয়নের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে সেচ্ছা শ্রমে কেও সেচ খাল পরিস্কার করা ভাল কাজ।

সোনালীনিউজ/ এএস

Wordbridge School
Link copied!