• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির চায় মুঘল সম্রাটের বংশধর


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৯, ২০১৯, ১১:৩৩ এএম
বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির চায় মুঘল সম্রাটের বংশধর

ঢাকা : নিজেকে একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে দাবি করে হিন্দুদের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করেন এই ব্যক্তি। তাই তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টাও করেন। যে কারণে প্রতিদিন রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে গিয়ে দুবার করে প্রার্থনাও করেন মুঘল সম্রাট বাবরের এই বংশধর।

রোববার বাবরি মসজিদ ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। বাবরি মসজিদের জায়গায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই দেখতে চান সম্রাট বাবরের বংশধর শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট যদি বাবরের বংশধর হিসেবে তাঁকে মান্যতা দেয়, যদি ওই বিতর্কিত জমির মালিক হিসেবে স্বীকার করে, তাহলে তিনি তা রাম মন্দিরের জন্যই দান করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি জানান, ওই মন্দির তৈরির সময়ে তিনি দিতে চান একটি সোনার ইট।  

প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি কয়েকমাস আগে রাম মন্দির মামলায় তৈরি হওয়া মধ্যস্থতাকারী কমিটিতে থাকার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বাবরের বংশধর হিসেবে ওই জমিতে তাঁর অধিকার আছে বলেও জানান। কিন্তু, ওই জমির মালিক বলে নিজেকে দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ জমা দিতে পারেননি। তাই তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তবে এই মামলায় তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য যে আবেদন করেছিলেন, তার শুনানি এখনও বাকি।

তিনি বলেন, রাম জন্মভূমি নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিবাদ চলছে। কিন্তু, ওই জমির মালিকানার কাগজপত্র কোনও পক্ষের কাছেই নেই। তাই বাবরের বংশধর হওয়ার সুবাদে আদালতে একবার নিজের কথা জানাতে চাই। ১৫২৯ সালে প্রথম মোঘল সম্রাট বাবর শুধুমাত্র সেনাদের নামাজ পড়ার জন্য বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। অন্য কাউকে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হতো না।

প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি বলেন, এখন আদালত যদি আমাকে জমিটা দিয়ে দেয় তাহলে ওটা আমি রাম মন্দির তৈরির জন্য দান করব। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ওই জায়গাটিকে ভগবান রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করেন। তারা মনে করেন যে বাবরি মসজিদ তৈরির আগে ওখানে রাম মন্দির ছিল। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমি হিন্দুদের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করি। তাই তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবো। এর জন্য প্রতিদিন রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে গিয়ে দুবার করে প্রার্থনাও করি।

প্রসঙ্গত, রাম মন্দির ধ্বংস করে অযোধ্যার ওই জমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করেন রামভক্তরা। তাঁদের এই বিশ্বাসকে মান্যতা দিয়ে ওই ঘটনার জন্য পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন হাবিবুদ্দিন তুসি। এর জন্য প্রতীক হিসেবে নিজের মাথায় রামলালার 'চরণ-পাদুকা'ও ধারণ করেন তিনি।

Wordbridge School
Link copied!