• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাবা হত্যার বিচার পেতে মেয়ের আকুতি


রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি নভেম্বর ২, ২০১৯, ০১:৩২ পিএম
বাবা হত্যার বিচার পেতে মেয়ের আকুতি

ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুরে বাবুল হাওলাদার হত্যার বিচার পেতে তার অসহায় মেয়ে মোসাঃ উর্মি বেগমের আকুতি। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে এ আবেদন জানায় তিনি। নিহত বাবুল উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চরউত্তমপুর এলাকার মৃত ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে।  

বাবুলের মেয়ে মোসাঃ উর্মি বেগম তার লিখিত আবেদনে জানায়, গত ১৮ অক্টোবর বিকালে বাবুল হাওলাদার বড়ইয়ার পালটে তার আত্মীয়ার বাড়িতে যায়।  উর্মি সন্ধ্যায় তার বাবার মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পায়।  উর্মি সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে খুঁজতে ওই আত্মীয়র বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।  পথিমধ্যে পশ্চিম বড়ইয়া নামক স্থানে এসে জানতে পারে তার বাবাকে স্থানীয় কয়েকটি ছেলে ধাওয়া করে স্থানীয় আজিজ মুন্সির বাড়ির দিকে নিয়ে যায়।  যারা ধাওয়া করেছে ওই সময় ঘটনাস্থলেই তারা উপস্থিত ছিল।  তারা উর্মির পূর্ব পরিচিত ছিল।  

উপস্থিত ছেলেদের  কাছে জিজ্ঞেস করে তার বাবাকে ধাওয়া দেয়ার বিষয়ে সত্যতা পায় উর্মি।  ওই সময় উর্মি তাঁর হাতে থাকা টসলাইট জালিয়ে ব্রীজের নিচে স্থানীয় আফজালের ছেলে সজিবকে গামছা পড়ে অন্ধকারে কিছু একটা করতে দেখতে পায়।  কিন্তু ব্রীজের নীচে কি হচ্ছিল বুঝে উঠার আগেই সজিবের সঙ্গে থাকা আফজালের ছেলে কাইউম উর্মির হাত থেকে লাইটটি কেড়ে নেয়।  

এ সময় ওই স্থান থেকে হযরত আলীর ছেলে হেলাল, মুজাফফরের ছেলে ইলিয়াছ উর্মিকে অন্যদিকে নিয়ে যায়।  উর্মি তার বাবাকে স্থানীয়দের সহায়তার কয়েক ঘণ্টা আশপাশের বাগান, নালা ডোবা সহ সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরে আনুমানিক রাত ৯টায় সময় যে স্থানে তার বাবাকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পায় উর্মি সেখানে সে স্থানীয়দের সহায়তার তার বাবাকে অনেক বার খোঁজা হয়েছে।  কিন্তু এখন এ জায়গায় কিভাবে তার বাবা আসলো।  এ সকল বিষয় নিয়ে উর্মিসহ স্থানীয় সকলের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।  তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বাবার প্রকৃত হত্যাকারীদের বের করে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোড় দাবী জানায় উর্মি।  

গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইলিশ মাছ কিনে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিম বড়ইয়া নামক স্থানে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে বাবুল নিখোঁজ হয়।  পরে রাত ৯টায় একটি নালার মধ্যে মৃত্যু অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।  এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে (মামলা নম্বর ১৯)।  

এ ব্যাপারে রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যার কোন আলামত পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।  কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

সোনালীনিউজ/এনএএইচ/এএস

Wordbridge School
Link copied!