• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে মিন্নি


বরগুনা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ১২:১৪ পিএম
বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে মিন্নি

বরগুনা : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বুধবার আদালতে হাজির হয়েছেন রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ মামলার অভিযোগপত্রে শুনানির দিন ধার্য থাকায় সকাল ৯টার আগেই বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে আসেন মিন্নি। এরপর আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বাবার সঙ্গেই আদালতের একটি কক্ষে অবস্থান করেন তিনি।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার অপর সাত অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলার অভিযোগপত্রের শুনানির জন্য আদালত দুপুর ২টা সময় নির্ধারণ করলে বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আবার বাসায় চলে যান মিন্নি।

এদিকে আদালতে মিন্নির হাজির হওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নিকে দেখার জন্য ভিড় জমায় উৎসুক সাধারণ মানুষ। আদালত প্রাঙ্গণের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এ মামলার অভিযুক্ত কিশোর মো. নাজমুল হোসেনের জামিন শুনানি হবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। এ কারণে মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নাজমুলের জামিন শুনানি শেষে আজ দুপুর ২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার মূল নথি এসে পৌঁছাবে। তাই দুপুর ২টায় এ মামলার অভিযোগপত্রের শুনানির সময় নির্ধারণ করেছে আদালত।

এ মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা আরিয়ান শ্রাবণও আজ আদালতে হাজির হন। এ মামলার সাতজন কিশোর অভিযুক্ত যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের দুই মাস ২০ দিন পর নতুন একটি ভিডিও বের হওয়ার পর এই মামলার পুনঃতদন্তের দাবি উঠেছে। এই দাবি জানিয়ে রিফাতের স্ত্রী ও মামলার আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আইনজীবীর মাধ্যমে এ বিষয়ে আবেদন করা হবে।

এদিকে বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বলেছেন, এই মামলায় পুনর্তদন্তের সুযোগ নেই।

রিফাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোমবার প্রকাশ হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনার দিন ২৬ জুন একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যায় মিন্নি। প্রায় ২০-৩০ মিনিট পর সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশালের উদ্দেশে নেয়া হয় রিফাতকে। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিন্নির বাবা কিশোর মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ। নতুন ভিডিও দেখলে প্রমাণ হবে আমার মেয়ে রিফাতকে বাঁচানোর জন্য সেদিন আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আমাদের উকিলের মাধ্যমে অবশ্যই মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করব। পুলিশ সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করেনি। সঠিকভাবে তদন্ত করলে আমার মেয়ে আসামি হতো না।’

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!