• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলা শিশু আদালতে স্থানান্তর


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬, ০৫:৫৪ পিএম
বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলা শিশু আদালতে স্থানান্তর

হবিগঞ্জে বাহুবলে আলোচিত ৪ শিশু হত্যা মামলাটি  শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্ধারিত তারিখে মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবির আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি শিশু আদালতে স্থানান্তর করেন হবিগঞ্জে জেলা ও দায়রা আতাব উল্লাহ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

নারী ও শিশু আদালতের পিপি আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, আসামীপক্ষের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন মামলাটি শিশু যেহেতু হত্যাকান্ডের তাই মামলাটি শিশু আদালতে প্রেরণ করার জন্য। আসামীপক্ষের আইনজীবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়েরা জজ মামলাটি শিশু আদালতে স্থানান্তর করেন এবং আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন। 

আদালতে শুনানীকালে মামলার আটক আসামী আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, আরজু মিয়া ও সাহেদ আলী ওরফে সায়েদকে হাজির করা হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেনীরর ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল মিয়া (১০)। ১৩ ফেব্রুয়ারী থানায় সাধারণ ডায়রি করেন জাকারিয়া শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া। ১৬ ফেব্রুয়ারী থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন নিহত মনির মিয়ার বাবা আব্দাল মিয়া।  নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের ইসাবিল নামক স্থান থেকে বালু মিশ্রিত মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী বাগলের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ওই চার শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পুলিশের তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকতাদির হোসেন। তিনি ৪৮ দিন তদন্ত শেষে পঞ্চায়েত সর্দার আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ আলী ওরফে সায়েদ, অন্যতম সহযোগি হাবিবুর রহমান আরজু, উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। এদের মধ্যে বর্তমানে পলাতক রয়েছে উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!