• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে, যা আগে কখনও দেখিনি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৫, ২০১৯, ০৪:০৩ পিএম
বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে, যা আগে কখনও দেখিনি

ঢাকা: বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। এমন পরিস্থিতি আমরা আগে কখনও দেখিনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা যে আচরণ করেছেন, এমন আচরণ নজিরবিহীন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দ্বিতীয়বার আদালতে ওঠার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশে এমনটা বলেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আইনজীবীদের হট্টগোলে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষ থেকে চলে যান। 

পরে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে এজলাসে এসে অন্য মামলার শুনানি শুরু করলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উচ্চস্বরে আওয়াজ তুলতে থাকেন। ফলে এজলাসে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তখন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন প্রধান বিচারপতিকে বলেন, ‘আমরা এখনও বসে আছি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দিন নির্ধারণ করুন।’

এর জবাবে আদালত বলেন, ‘অর্ডার পাস হয়ে গেছে। এখানে বসে আদালতের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।’

এরপর জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী গতকাল (বুধবার) কী বলেছেন, তা আপনারা দেখুন।’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কে কী বলেছেন, আমরা তা দেখবো না। আমরা কাগজ না দেখে বিচার করবো না।’

এ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শেষ একটি কথা বলতে চাই।’ তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। আর কোনও কথা শুনবো না।’

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতকে বলেন, ‘হাতজোড় করে বলছি, আগামী রবিবার দিন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিন।’ এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সবাই (ছয় বিচারপতি) মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শুনবো।’

এরপরও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এজলাসে নিজেদের অবস্থান অব্যাহত রাখেন। তবে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে কার্য তালিকায় থাকা অন্য মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানির বিভিন্ন পর্যায়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে আর কোনও মামলার শুনানি করতে না পেরে বিচারপতিরা নির্ধারিত সময় পর (১টা ১৫ মিনিটে) এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!