• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বায়ান্নর এই দিনে, শেষ মুহূর্তেও বাধা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম
বায়ান্নর এই দিনে, শেষ মুহূর্তেও বাধা

ঢাকা : ২১ ফেব্রুয়ারির আগের রাত ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা শেষ মুহূর্তেও বন্ধ করার চাপ দিয়েছিলেন সে সময়ে রাজনীতিকরা। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্ররা সভা করল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তখন ছিল আজকের ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটা অংশে। তুমুল উত্তেজনা, কোলাহল, তর্কাতর্কি।

আওয়ামী লীগের শামসুল হক এসে বক্তৃতা করলেন, বোঝাতে চাইলেন কেন ১৪৪ ধারা ভাঙা উচিত হবে না। উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও কয়েকজন অধ্যাপক এসে ছাত্রদের অনুরোধ করলেন— তোমরা ১৪৪ ধারা ভেঙ না। কিন্তু আবদুল মতিন, গাজীউল হকদের বক্তৃতায় ছাত্রদের সব ভয় উধাও হয়ে গেল। ১৪৪ ধারা ভাঙার শপথ থেকে ছাত্ররা এক পাও পেছাল না।

১৪৪ ধারা না ভাঙার পক্ষে রাজনীতিকদের মত দেওয়ার একটা কারণ ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশগুলোয় ব্যবস্থা পরিষদের নির্বাচন ঠিকই হয়েছে, কিন্তু মুসলিম লীগ সরকার পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থা পরিষদের নির্বাচন কিছুতেই করছিল না। কারণ ততদিনে জনসাধারণের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা পড়ে গিয়েছিল।

১৪৪ ধারা ভেঙে আইন অমান্য করা হলে যে পরিস্থিতি দেখা যাবে তাতে সরকার নির্বাচন না করার আরো অজুহাত পেয়ে যাবে। এ কারণেই আগের দিনের মিটিং থেকে শুরু করে পরদিনের আমতলার বক্তৃতায় সব রাজনীতিকের এক সুর ছিল— আইন অমান্য করা যাবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!