• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা বন্ধে রিট


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮, ০৭:৪৮ পিএম
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা বন্ধে রিট

ঢাকা: সারা দেশে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ তিন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন ছাড়া অন্য দুই আইনজীবী হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ার‌ম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া।

রিটে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।

এতে বিবাদী করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

রিটের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করা।’

‘এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।’

ড. কামাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা এ মামলার শুনানিতে অংশ নিবেন বলে জানা গেছে।

রিট আবেদনে, সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে এবং এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। এই কমিটিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখার জন্য দাবি করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!