• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিতে ভূতুড়ে সিদ্ধান্ত!


বিশেষ প্রতিবেদক মে ২৭, ২০১৯, ০৮:৪৬ পিএম
বিএনপিতে ভূতুড়ে সিদ্ধান্ত!

ঢাকা : স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চান। এই সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে ৮ জনের একটি নামের তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনে অবশ্য বলা হচ্ছে, ‘বিএনপি চেয়ারপরসনের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে তার সাক্ষাৎ প্রয়োজন।’

কিন্তু দলীয় একটি সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডন থেকে তারেক রহমান একের পর এক চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইতেই তারা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী।

চিঠিতে সাক্ষাতে আগ্রহী যে ৮ জনের নাম দেওয়া হয়েছে-

তারা হলেন- ১. ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ২. ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ৩. নজরুল ইসলাম খান ৪. গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ৫. মির্জা আব্বাস ৬. অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন ৭. সেলিমা রহমান এবং ৮. মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, তারেক রহমান ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিএনপির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছেন। তারেক রহমানের সব সিদ্ধান্ত বিনা বাধায় মেনে না নেওয়ার ব্যাপারে তারা একমত পোষণ করেছেন বলেও জানা গেছে।

বিএনপির একাধিক সূত্রের দাবি, সংসদে বিএনপির ৪ সংসদ সদস্যের শপথ নেয়ার পর থেকেই বিএনপিতে এই অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপর যখন তারেক রহমান উপ-নির্বাচনে এবং সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন, তখন বিএনপিতে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

তারেক রহমান যা বলছেন, তা কোন রকম জোর আপত্তি ছাড়াই বিএনপি মহাসচিব পালন করছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমানের নির্দেশগুলো দলের জন্য ক্ষতিকর এবং আত্মঘাতী। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি একটি হাস্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এরফলে, বিএনপির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘তারেক রহমান গত ১১বছর লন্ডনে। বাংলাদেশের রাজনীতির সাম্প্রতিক গতি প্রকৃতি এবং পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি মোটেও ওয়াকিবহাল নন। দলের নেতাকর্মীদের মনোভাব সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। লন্ডনে বসে কিসের ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা একমাত্র তিনিই জানেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপিতে সাম্প্রতিক সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে তা সঠিক না ভুল তা পরের ব্যাপার। কিন্তু কিভাবে সিদ্ধান্ত হচ্ছে সেটাই হলো আশ্চর্যের ব্যাপার। বিএনপির এমপিরা শপথ নিলো, দল কিছু জানে না।’

বিএনপির অন্য একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, ‘ম্যাডাম সবার কথা শুনতেন, তারপর সিদ্ধান্ত দিতেন। সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু এখন সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে ভূতুড়ে সিদ্ধান্ত।’

জানা গেছে, বেগম জিয়ার কাছে গিয়ে এই আট নেতা তারেক রহমানের হাত থেকে বিএনপির মুক্তি চাইবেন। তারা যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে দল পরিচালনার অনুমতি চাইবেন। সূত্রমতে, সংসদে যাওয়াসহ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিএনপিতে এখন তারেক রহমান ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। একারণেই ৮ নেতার এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!