• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির চিঠিকে ‘অন্তঃসার শূন্য’ বললেন তথ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৬:৪২ পিএম
বিএনপির চিঠিকে ‘অন্তঃসার শূন্য’ বললেন তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে তার কাছে পাঠানো বিএনপির চিঠিকে ‘অন্তঃসার শূন্য’ বলে অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই চিঠিতে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে দলটির অপচেষ্টার প্রতিফলন ঘটেছে।

তথ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের অফিসে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লী সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো জনগণ ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে প্রকাশ করা হয়নি বলে বিএনপি দাবি করেছে। হাছান একে জনগণকে বিভ্রান্ত করার হীন প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফরের পর রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে তাকে এই সফর সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি এই সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো সম্পর্কে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সংসদের সব কিছু প্রকাশ করেছেন।’

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে হাছান বলেন, ঢাকায় ভারতীয় ব্যাংকের একটি শাখা খোলা ছাড়া আর কোন চুক্তি যে স্বাক্ষরিত হয়নি বিএনপি তা বুঝতেই পারেনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি যে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। বিএনপি’র চিঠির অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অন্তঃসার শূন্য এবং এগুলো তাদের রাজনৈতিক স্টান্টবাজি ছাড়া কিছুই নয়।’

হাছান বলেন, বিএনপি ভারত-বিরোধী রাজনীতিতে অভ্যস্ত। এটাই তাদের চরিত্র। এরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ভারত-বিরোধী বিবৃতি দেয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার শাসন আমলে ভারতের সাথে সাতটি চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু এই চুক্তিগুলো সম্পর্কে তিনি কখনোই রাষ্ট্রপতি বা জনগণকে কিছু জানাননি।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতকে পানি দেয়নি। তবে, বিএনপি নেতারা ফেনী নদীর এই ইস্যুকে নিয়ে মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। ভারত এর আগে ফেনী নদীর পানি থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করত, যা ছিল নদীটির মোট পানির মাত্র ০.৫ শতাংশ। এখন বাংলাদেশ সরকার এটিকে একটি কাঠামোর আওতায় নিয়ে এসেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত বোতলজাত এলপিজি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানী করব। ভারত বঙ্গপসাগরে আমাদের কোস্ট গার্ডের জন্য ২০টি রাডার স্থাপন করার অনুমোদন দিয়েছে। ওগুলো আমাদের কোস্ট গার্ডের সম্পদ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও এরআগে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত যদি আমাদের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে, তবে, আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটা তাদের প্রথম চিঠি। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তবে এই চিঠিতে বেগম জিয়া অথবা তার মুক্তির ব্যাপারে একটি কথাও নেই। তারা কি (বিএনপি) বেগম জিয়ার মুক্তি চায়?’

এই চিঠি প্রেরণের জন্য বিএনপি’র সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই চিঠির মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে বিএনপি অনাগ্রহ এবং তাদের ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট লালনেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলের মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

হাছান মাহমুদ আজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থহানি হতে পারে এমন কোন চুক্তি করেননি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ভারত ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমার মামলা করে বিজয় অর্জন করেছি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!