• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিকিনি পরে ছবি পোস্ট করা সেই ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল (ছবিসহ)


নিউজ ডেস্ক জুন ১৬, ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম
বিকিনি পরে ছবি পোস্ট করা সেই ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল (ছবিসহ)

ঢাকা: ফেসবুকে একগুচ্ছ বিকিনি ও অন্তর্বাস পরা ছবি পোস্ট করেন এক চিকিৎসক। এতেই চটেছে মিয়ানমার সরকার। ব্যক্তি স্বাধীনতার ‘অপব্যবহারের’ দায়ে তার চিকিৎসক লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মিয়ানমারের নঙ মি সান চিকিৎসকের পাশাপাশি মডেলিংও করেন বলে খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এনডিটিভি।

শনিবার রক্ষণশীল মিয়ানমারের মেডিকেল কাউন্সিল বরাবর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছেন নঙ।

নঙ মি সান তার ফেসবুকে হরহামেশায় এ ধরনের উত্তেজক ছবি পোস্ট করেন। মূলত দেশটির অনলাইন এই মডেল মার্কিন মডেল কেন্দাল জেনারের মতো সাঁতারের পোশাক এবং বিকিন পরা ছবি বেশি পোস্ট করেন। সঙ্গে মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ছবিও থাকে।

সরকারের ভাষ্য, এ ধরনের পপ সংস্কৃতির পোশাক পরা ছবি দিয়ে নঙ মি সান যুবসমাজকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছেন। চিকিৎসক হয়ে যৌনতাকে উস্কে দিচ্ছেন, যা দেশটির ঐতিহ্যের সঙ্গে বেমানান।

চলতি বছরের জানুয়ারিতেও একবার নঙ মি সানকে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপর গত ৩ জুন মিয়ানমার মেডিকেল কাউন্সিল তার চিকিৎসক পেশার লাইসেন্স বাতিল করে চিঠি দেয়।

এতে তার ছবিগুলোকে ‘শালীনতা বিবর্জিত’ এবং মিয়ানমারের ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী’ বলে উল্লেখ করা হয়। ২৯ বছর বয়সী নঙ পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা পেশায় আছেন। ২০১৭ সালে তিনি মডেলিং শুরু করেন।

সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘মেডিকেল নৈতিকতায় পোশাক নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।’

নঙ বলেন, ‘আমি যখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেই, তখন এ ধরনের পোশাক পরি না। তাহলে ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিল হবে কেন? এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত। আমি এ মাসেই সিদ্ধান্ত তুলে নিতে আবেদন করব।’

এ বিষয়ে মেডিকেল কাউন্সিলের মন্তব্য নিতে পারেনি রয়টার্স। তবে দেশটির নেটিজেনরা এ বিষয়ে নানা মতামত তুলে ধরে মন্তব্য করছেন।

এসব মন্তব্যে তারা মিয়ানমারের অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্রহীনতার কড়া সমালোচনা করেছেন।

এমনই একজন শোয়ে থু রাজ্জা মন্তব্য করেন, ‘মানবাধিকার তো শরীরের প্রদর্শনে থাকে না যে, সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নিলেই হলো। আপনাকে আগে মিয়ানমারের সংস্কৃতিকে ঠিক করতে হবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এসএস

Wordbridge School
Link copied!