• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ

বিক্ষোভের মধ্যেই আইনে রূপ নিল নাগরিকত্ব বিল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০২:৫১ পিএম
বিক্ষোভের মধ্যেই আইনে রূপ নিল নাগরিকত্ব বিল

ঢাকা : বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল-সিএবি, ২০১৯-এ সম্মতি দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অনুমোদনের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিলে সম্মতি দেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয়েছে বিলটি।

সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর হয়েছে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিতে বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

৯ ডিসেম্বর সোমবার মধ্যরাতে ৩১১-৮০ ভোটে লোকসভার অনুমোদন পায় বিতর্কিত এই বিলটি। পরে বুধবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভারও অনুমোদন পায়। বিরোধী দলগুলো বিলটিকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করলেও দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভিন্ন দাবিতে উত্তাল। আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে শরণার্থীদের অবৈধ অভিবাসীর স্বীকৃতি বাতিল ও এই অঞ্চলকে সিএবি আওতামুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা।

সংশোধিত আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অবৈধ শরণার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে না। তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার বলছে, এই আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিপীড়নের শিকার হওয়া মানুষদের রক্ষা করা হবে। তবে বিরোধীদের দাবি, মুসলমানদের সুরক্ষার প্রশ্ন উপেক্ষিত থাকায় আইনটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে হেয় করেছে।

এদিকে পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপনের পর থেকে বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে রয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য। বৃহস্পতিবার আসামে বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কারফিউ উপেক্ষা করে কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পুলিশের গুলিতে রাজ্যটিতে নিহত হয়েছে তিন বিক্ষোভকারী। এ ছাড়া পাশের রাজ্য মেঘালয়েও দুই দিন ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা। রাজ্যটির রাজধানী শিলংয়ে জারি করা হয়েছে কারফিউ। আরেক রাজ্য ত্রিপুরায় বড় ধরনের কোনো সহিংসতা না হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস বন্ধ করে দিয়ে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আসামের বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে বিদেশি শরণার্থীদের ঢল নামবে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আসামের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই- আপনাদের অধিকার, পরিচয়ের স্বাতন্ত্র্য ও নান্দনিক সংস্কৃতি কেউ কেড়ে নেবে না। এগুলো সুসজ্জিত ও বাড়তে থাকবে।

বিজেপি সরকার বলছে, নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি করা হবে। ফলে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা, প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে সেখানে যাওয়া শরণার্থী নয়। তবে আইনে বর্ণিত অন্য ধর্মাবলম্বী শরণার্থীরা ৫ বছর সেখানে থাকার প্রমাণ দিয়েই নাগরিকত্ব পাবেন।

মেঘালয়ে বিক্ষোভ, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ : ভারতের মেঘালয়ে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও এসএমএস সার্ভিস দুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের বিভিন্ন এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর এই কারফিউ জারি করা হলো। মেঘালয় পুলিশ টুইটে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা দেয়।

গতকাল শুক্রবার এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, শিলংয়ে স্থানীয় লোকজনের করা মোবাইল ফোনের ভিডিওতে দেখা গেছে, কমপক্ষে দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এলাকার প্রধান শপিং স্ট্রিট পুলিশ বাজারে এরপর হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। টুইটারে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এলাকার প্রধান দুটি সড়কে মশাল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

শিলং থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে উইলিয়ামনগর এলাকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জনসভায় তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে ‘কনরাড ফেরত যাও’ স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে মানুষ বিক্ষোভ করে।

মেঘালয় পুলিশ টুইটে অপপ্রচার না চালাতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মেঘালয়ের পাশের রাজ্য আসামে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে দুজন নিহত হয়। তবে ত্রিপুরায় বড় ধরনের সহিংস কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব ভারতে বিক্ষোভ, আসামে নিহত ৫ : বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল দেশটির রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়। কারফিউ, সেনা, পুলিশ আর আধা সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধ উপেক্ষা করে শুক্রবার সকাল থেকেই ওই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলে।

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশটির অন্যান্য গণমাধ্যমের খবের জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনের এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত আসামে ৫ জন নিহত হয়েছেন। বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামা হাজার হাজার মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীর দমনাভিযানে এসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা এই বিক্ষোভে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন। তাদের মধ্যে আসামের তিনসুকিয়ায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে নারায়ণ নামে এক প্রৌঢ়ের। তিনি বাঙালি মালিকানাধীন একটি হোটেলে কাজ করতেন। বিক্ষোভকারীরা হোটেলে আগুন দিলে তার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া গোহাটির লাচিতনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দীপাঞ্জল দাস নামে সেনা ক্যান্টিনের এক কর্মী এবং হাতিগাঁও শঙ্কর পথে পুলিশের গুলিতে এক জন মারা গেছেন। তবে বেসরকারি সূত্র বলছে, শঙ্কর পথে একজন নয় মোট দুজন আর নতুন বাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাসের পরে অসমিয়াদের রোষের মুখে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাঙালিরা। ডিবরুগড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বাড়িতে হামলার চেষ্টা হলে পুলিশের লাঠি ও গুলিতে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এলাকা ছাবুয়ার বিধায়ক বিনোদ হাজরিকার বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, বিজেপির মন্ত্রী রঞ্জিত দত্ত, বিধায়ক আঙুরলতা ডেকার বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার সকালে আসাম গণপরিষদের গোহাটির আমবাড়ি সদর দফতরেও ভাঙচুর হয়।

বিক্ষুব্ধ জনতাকে ঠেকাতে পুলিশ অনেক স্থানে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। গোহাটিসহ বেশ কিছু জায়গায় গুলিও চালায় তারা। লালুংগাঁও নামক এলাকায় পুলিশের গুলিতে ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আদাবড়ি, হেঙেরাবাড়ি, উজানবাজার, গোহাটি ক্লাব, চাঁদমারি, গণেশগুড়ি ও চচলসহ বিভিন্ন স্থানে রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। রেলপথে অগ্নিসংযোগ ছাড়াও পাথর ছোড়া হয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িতে। ডিবরুগড়ে সার্কেল ও পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।

গোহাটির পুলিশ কমিশনারকে বদলি করে নতুন কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এডিজিপির (আইনশৃঙ্খলা) দায়িত্বেও রদবদল করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকার খবর জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

আসামের সাধারণ মানুষ আর বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে শুক্রবার সকালে অসমিয়া ভাষায় টুইট করে অসম চুক্তির ষষ্ঠ ধারার রূপায়ণ ও অসমিয়াদের স্বার্থরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘সহিংস আন্দোলন করা ঠিক নয়। নেতাদের একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।’

কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। কারফিউ ভেঙে আর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট অগ্রাহ্য করে রাস্তায় নামে অসংখ্য মানুষ। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা বাঙালি বা মুসলিমবিরোধী নই। শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই।’ আজ শনিবার ফের গণসমাবেশ ও ১০ ঘণ্টা অনশনের ডাক দেয়া হয়েছে।

গোহাটির পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় এবং মেঘালয়ের শিলংয়ের বিভিন্ন বাঙালি এলাকায় ভাঙচুরের ফলে শিলং শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে জারি হয়েছে নৈশ কারফিউ। বিক্ষোভ চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা, মণিপুরেও।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়েছে রাজ্যগুলোতে। ইতোমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং যেকোনো মুহূর্তে বিক্ষোভ মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর আগে গত বুধবার তিন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় সেনা মোতায়েন করাও হয়।

আসামে বাংলাদেশি দূতের গাড়িবহরে হামলা, হাইকমিশনারকে ডেকে ঢাকার প্রতিবাদ, নিরাপত্তা জোরদার : ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী হাইকমিশনের দুটি পথনির্দেশক খুলে ফেলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতের সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল গৃহীত হওয়ার পর আসামে সহিংসতা ও কারফিউ জারির পরিপ্রেক্ষিতে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মথ্যে কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশ চ্যান্সারি থেকে প্রায় ৩০ গজ দূরের দুটি পথনির্দেশক খুলে ফেলেছে। এ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। গত বুধবার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারকে এসকর্টের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাযান বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার পথে নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের হামলার মুখে পড়ে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সহকারী হাইকমিশনারের গাড়িবহরে হামলা ও পথনির্দেশক চিহ্ন ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানান।’

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব ভারত সরকারকে বাংলাদেশ মিশনের কর্মী ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান। গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন এবং আবাসিক ভবনের নিরাপত্তা জোরদারে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সহকারী হাইকমিশন, এর কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে, সহকারী হাইকমিশনারের গাড়িবহরে হামলা এবং দূতালয়ের পথ নির্দেশক বিনষ্ট করা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!