• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি মানিকের ১৬১ মামলার পুনঃশুনানি হচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৮, ২০১৬, ১০:২২ এএম
বিচারপতি মানিকের ১৬১ মামলার পুনঃশুনানি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবসরের পর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কাছে রায় লেখার অপেক্ষায় থাকা ১৬১ মামলার পুনঃশুনানি হচ্ছে।

আগামী রোববার আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় এসব মামলা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। বেশিরভাগ মামলার রায় লেখার কাজ শেষ করেছিলেন বিচারপতি মানিক। কিন্তু তার লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় প্রধান বিচারপতি মামলাগুলো পুনঃশুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরপরই প্রস্তুত করা হয়েছে এসব মামলার পেপারবুক।

সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আনিসুর রহমান বুধবার বলেন, ‘২৬ এপ্রিল এসব মামলার পুনঃশুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তবে কবে নাগাদ মামলাগুলো কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে তা তিনি নিশ্চিত করেননি।

তবে আপিল বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের অবকাশের পর আগামী রোববার থেকে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম চলবে। ওই দিনের দৈনন্দিন কার্যতালিকাতেই মামলাগুলো অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকেই এসব মামলা আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় দেখা যাবে বলে ওই সূত্র জানায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৬১টি মামলার মধ্যে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালতের কার্যতালিকায় ১০০টি এবং বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন দুই নম্বর আদালতের কার্যতালিকায় বাকি ৬১টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

২০১৫ সালের ১ অক্টোবর আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার সময় ১৬১টি মামলার রায় লেখার দায়িত্ব ছিল এই বিচারপতির। এসব মামলা তার অবসরে যাওয়ার আগেই আপিল বিভাগ বিভিন্ন সময়ে শুনানি গ্রহণ সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত আদেশও জানিয়ে দেন। শুধু পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ বাকি ছিল। মামলাগুলোর রায় দীর্ঘদিনেও তিনি না লিখে কালক্ষেপণ করছিলেন। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা গত ১৭ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে অবসরের পরে রায় লেখাকে সংবিধানপরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন।

ওই বাণীতে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের পর দীর্ঘদিন সময় ধরে রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধানপরিপন্থী।’

অবসরের পর রায় লেখা বেআইনি বলার ব্যাখ্যায় বিচারপতি সিনহা তার বাণীতে বলেন, ‘কোনো বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তার গৃহীত শপথও বহাল থাকে না।

সোনালীনিউজ/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!