• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায় বেলায় গণশিক্ষা সচিবের যত প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০, ০৪:২৬ পিএম
বিদায় বেলায় গণশিক্ষা সচিবের যত প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস

ঢাকা: অবসরে যাওয়ার আগে একের পর এক আশ্বাস দিয়ে চলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। ১ নভেম্বর থেকে আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদে থাকবেন না তিনি। গত ছয়মাসেরও বেশি সময় ধরে শুধু প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন গণশিক্ষা সচিব। ফেসবুক টিভি, আইপি টিভি, বেসরকারি টিভি, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে চলছেন। সমানে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শিগগিরই পদোন্নতি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও পদোন্নতির কাজ এখনো অনেকটাই বাকি।

তিনি সংবাদিকদের জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব দেয়া শিক্ষকদের চূড়ান্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হবে। পিএসসি অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত তালিকা ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাদের পদোন্নতি দেয়া হবে।

যদিও জানা গেছে, কিছুদিন আগে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে। সে তালিকা এখনো গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি অধিদপ্তর। অন্যদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির করায় তাদের পদোন্নতি দিতে পিএসসির সুপারিশ লাগবে। ডিজি অফিস কাগজপত্র পাঠালে এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পিএসসিতে পাঠাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পিএসসি অনুমোদন দিলে পদোন্নতি দেয়া হবে। 

দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাকি থাকলেও শিক্ষকদের পদোন্নতির আশ্বাস দিচ্ছেন। আর কতিপয় শিক্ষক নেতা ও নামধারী সাংবাদিক সেসব আশ্বাস পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন। 

জানা গেছে, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৯৯টি। এছাড়া তিনটি ধাপে নিবন্ধিত ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে যেগুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই, সেসব বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী শিক্ষকদের। বর্তমানে চলতি দায়িত্বে রয়েছেন ১৮ হাজার শিক্ষক। এছাড়া নতুন সরকারি হওয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রায় এক হাজার শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। এ শিক্ষকরাও প্রধান শিক্ষক হিসেবে গ্রেডেশন পেতে উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!