• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যালয়ের মাঠে হাট, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ


নাহিদ আল মালেক, বগুড়া মে ১৭, ২০১৮, ০৮:৪৬ পিএম
বিদ্যালয়ের মাঠে হাট, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

বগুড়া : জেলার ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ইজারাদার। তবে বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসিয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খেলাধুলাসহ শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।

জানা গেছে, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ী গ্রামে ১৯১৮ সালে ৩৩ শতক জায়গায় নাটাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৯৭২ সালে এক একর ৮৭ শতক জায়গায় নাটাবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ওই বিদ্যালয় দুটির উত্তর পাশে ৮ শতক জায়গা নাটাবাড়ী হাটের নামে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখ থেকে ওই হাটটি ২য় দফায় ইজারা নিয়েছেন গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, তার ভাই আব্দুল বারিক, নজরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। কিন্তু তারা হাটের নির্ধারিত জায়গায় হাট না বসিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছেন।

প্রতি রবিবার ও বৃহিস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় হাটের কেনাবেচা। হাটের দোকানিরা বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ও শ্রেণি কক্ষের সামনে দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খেলাধুলাসহ শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হৈচৈর কারণে এক ঘণ্টা আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয় কর্তৃপক্ষের।

বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট প্রধান হাসান রেজা, মনির হোসেন ও আফরোজা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে হাট এবং খড় শুকানোর কারনে আমরা লেখাধুলা করতে পারি না। এ ছাড়া শ্রেণীকক্ষের সামনে দিয়ে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসায় আমরা ক্লাস থেকেও বের হতে পারি না। হাটের হৈচৈর কারণে আমাদের লেখাপড়াসহ শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, হাটের জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকলেও ইজারাদার বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খেলাধুলাসহ বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের হৈচৈর কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আগেই বাড়িতে চলে যায়। তাই বাধ্য হয়ে এক ঘণ্টা আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়।

তবে হাটের ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে হাটের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও রাস্তার কারণে সেখানে হাট বসানো সম্ভব হয় না। তাই আগে থেকেই বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসছে। এ কারণে বিদ্যালয়ে কিছু অনুদান দেওয়া হয়। তবে বিকাল ৪টার পর হাট বসলেও বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে আগে থেকেই হাট বসছে। এতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিন্নাহ্ জানান, বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসানোর কোনো নিয়ম নাই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!