• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীকে পেটালেন দুদকের এডি!


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জুন ২৩, ২০১৯, ০৯:৫৮ পিএম
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীকে পেটালেন দুদকের এডি!

চট্টগ্রাম: বিদ্যুৎ বিভাগের (পিডিবি) প্রকৌশলী মো. মিরাজ হোসেনকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাঙ্গামাটির সহকারী পরিচালক (এডি) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২২ জুন) বিকেলে তবলছড়ি ওয়াপদা কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী প্রকৌশলীর দাবি, রাঙ্গামাটিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্মাণাধীন ভবনের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তাকে নজরুল ইসলাম গাড়ি থেকে নামিয়ে সড়কেই মারধর করেন। পরে তিনি পিডিবি ও দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে প্রকৌশলী মো. মিরাজ জানান, জুনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে। শনিবার বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি এলাকার ওয়াপদা কলোনি এলাকায় গিয়ে আমরা দুদকের নির্মাণাধীন ভবনে পিডিবির লাইন থেকে সরাসরি সংযোগ নিয়ে ওয়েল্ডিং মেশিনে কাজ দেখতে পাই। পরে এই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মালামাল জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলের ছবি সংগ্রহ করে আইনানুসারে মুঠোফোনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

তিনি বলেন, এরপর জব্দ মালামাল ও ওয়েল্ডিং মেশিন গাড়িতে নিয়ে অফিসে ফেরার পথে ওয়াপদা কলোনি মোড়ে দুদকের সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে নজরুল ইসলাম গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় পরিচয় দিতেই তিনি শার্টের কলার ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। মারার সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

প্রকৌশলী মো. মিরাজ বলেন, ভবনটি নির্মাণ করছে গণপূর্তের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস অনন্ত ত্রিপুরা। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কিছু করলে গণপূর্ত বিভাগ বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করবে। দুদকের এডি নজরুল ইসলাম কেন আমাকে মারধর করলেন, বুঝে আসছে না।

ঘটনার সময় গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাঙ্গামাটি দুদকের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিরাজ কেন এসব বলছেন, তিনিই ভালো জানেন। আমি এমন অহেতুক কোনো বিষয়ে মন্তব্য করব না।

রাঙ্গামাটি পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত ত্রিপুরার মালিক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!