• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন সৈয়দ আশরাফের বোন


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯, ০৮:১২ পিএম
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন সৈয়দ আশরাফের বোন

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের পুনর্নির্বাচনে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও প্রয়াত  সৈয়দ  আশরাফুল ইসলামের ছোটবোন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছেন।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়ে বিকেল পৌনে পাঁচটার পাঁচ মিনিট আগে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন সশরীরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার ফলে আ.লীগ প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান।

এর আগে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. জাকিয়া নূর লিপির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আ.লীগ প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৩১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী হিসেবে জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মো. মোস্তাইন বিল্লাহ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর পর ৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সরাওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকিয়া নূরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে গণতন্ত্রী পার্টি ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কাগজপত্রে কিছু ভুলত্রুটির কারণে বাতিল  করেন।

পরে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ। প্রার্থিতা ফিরে পেলেও শেষ মুহূর্তে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ বিষয়ে ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের সঙ্গে সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে কেন শেষ মুহূর্তে তিনি এ কাজ করলেন, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো জয়ী হন। কিন্তু শপথ নেওয়ার আগে গত ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আসনটিতে শূন্য ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!