• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিপদগামীদের ফিরিয়ে আনতে হবে’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২২, ২০১৬, ১০:২১ পিএম
‘বিপদগামীদের ফিরিয়ে আনতে হবে’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পবিত্র ধর্ম ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ এই ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু মানুষকে বিপদগামী করা হয়েছে। তাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে বেহেস্তের হুর-পরি পাওয়ার। কোন সভ্য দেশে এটা কোন বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। এসব বিপদগামীদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার (২২ আগষ্ট) বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শোক দিবস পালন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাচিপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২১শে আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার বিষয়ে ১২ বছর পর বিএনপির ঘুম ভেঙ্গেছে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং তার খুনিদের বিচারের বিষয়ে ৪২ বছরেও তাদের কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পায়নি জাতি। আসলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বেনিফেসিয়ারি হলো বিএনপি।

‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা’ মর্মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফজরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে মদদ দিচ্ছেন অভিযোগ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর খুনি মোশতাক কিলারদের সূর্য সন্তান বলেছিলেন। আর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা কঠোর হাতে দমনের ঘটনাকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রক্তাক্ত অভ্যুত্থান বলেছেন। এ থেকেই জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে তার অবস্থান কী?
 
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান হাতের কাছে পেয়েও হত্যার সাহস পায়নি। অথচ এদেশের কয়েকজন বিশ্বাস ঘাতক তাকে হত্যা করে। আর এ হত্যাকান্ডের বিচার যাতে না হয় সেজন্য খুনি মোশতাক ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। আর দীর্ঘদিন ধরে জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়া এই কালো আইন ধারন করেন।

পরে মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগদান করেন। সংগঠনের সভাপতি মো. রায়হানের সভাপতিত্বে সভায় খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!