• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিবাহবার্ষিকীতে শিশিরকে বিরাট উপহার সাকিবের


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১২, ২০১৮, ১০:১৯ পিএম
বিবাহবার্ষিকীতে শিশিরকে বিরাট উপহার সাকিবের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফেসবুকে পরিচয়। প্রথম দেখা লন্ডনে। তার পর প্রেম। সেই প্রেম পূর্ণতা পেল ১২.১২.১২-তে এসে। সেদিন যে মিলে গেল চার হাত। এক সঙ্গে শুরু হল পথ চলা। রবিঠাকুরের কথায়, ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে’। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনে অর্ধযুগ পার করে ফেললেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারাদিন ধরেই ভক্ত-সমর্থকদের কাছ থেকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা পেয়েছেন।

সন্ধ্যায় সাকিবের তরফ থেকে বিরাট উপহার পেয়েছেন শিশির। বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার স্ত্রীকে যে উপহার হিসেবে দিয়েছেন গাড়ি। স্বামীর দেওয়া গাড়ি উপহার পেয়ে শিশির ফেসবুকে লিখে দিলেন, ‘সাকিবের তরফ থেকে বিবাহবার্ষিকীর উপহার।’ তার আগেই অবশ্য নিজের ফেসবুক পাতায় সাকিব যুগল ছবি আপলোড করেন। সকালে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন।

অন্তর্মুখী স্বভাবের সাকিবের সঙ্গে শিশিরের প্রথম পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকেই। সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে শিশিরই প্রথম ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁ হাতি অলরাউন্ডারকে। তার পরে ক্রমে দীর্ঘায়িত হল ফেসবুকে চ্যাট, হল মন দেওয়া নেওয়া, বাড়ল একে অপরের প্রতি অনুভূতি। সাকিবের প্রতি প্রেম এতটাই গভীর আকার নিল যে, শিশির আর থাকতে পারলেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে এলেন সোজা ইংল্যান্ডে। সাকিব তখন উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছেন। মনের মানুষকে সেই প্রথম কাছ থেকে দেখলেন শিশির। সাকিবও তো মনে মনে এই দিনটারই অপেক্ষায় ছিলেন। তাই নয় কি!  

বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের পৃথিবীটা আর পাঁচ জনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ক্রিকেটকেই যে সাকিব করেছেন জীবনের ধ্রুবতারা। শিশির আবার ক্রিকেট বোঝেন না। ক্রিকেটের চৌহদ্দিতে পা-ই রাখেননি কোনও দিন। তা হলে কী ভাবেই বা একে অন্যকে দিয়ে দিলেন মন? লাজুক সাকিব এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আসলে হয়েছি কী, ২০১১ বিশ্বকাপে আমি বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলাম। তখন আমাকে নিয়ে এত লেখালেখি হয়েছে যে, দেশেবিদেশে বাংলাদেশের অধিনায়ককে সবাই একডাকে চিনে ফেলেছে। শিশিরও এ ভাবেই চিনেছে।’

১২.১২.১২-এর পর কেটে গেছে অনেকগুলো দিন। পদ্মা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। সাকিব-শিশিরের ঘর আলো করে এসেছে মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি। সুখের সংসার সাকিবের। মেয়েও হয়েছে বাবা-অন্ত-প্রাণ। বাবা যা করেন, সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করে ছোট্ট মেয়েটি। সাকিবের উত্থান-পতনে সবসময়ে পাশে রয়েছেন শিশির। শাকিব ব্যর্থ হলে শিশির কাঁদেন। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের সাফল্যে শিশিরের মুখে খেলা করে লক্ষ ওয়াটের আলো। এভাবেই চলুক না সাকিব-শিশিরের বাকি জীবনটা!

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!