• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ


সোনালীনিউজ ডেস্ক আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৮:১১ এএম
বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ

ঢাকা : রক্তাক্ত ভয়াল-বিভীষিকাময় ২১শে আগস্ট আজ। রাজনৈতিক ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি কলঙ্কময় দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকী। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে অকল্পনীয় এক নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দেয়। ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ দলের ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হন। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান সেসময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত, রায়সহ বই) তৈরির কাজ চলছে। আর এ পেপারবুক তৈরি হলে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ। এমনটি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মামলার আসামি) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে অপর আরও ১১ আসামিকে।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়। এই মামলার বিচারিক আদালত থেকে দণ্ড পাওয়া ৪৪ জন আসামি আপিল করেছেন। সেই আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয়ার আগে পেপারবুক প্রস্তুতির কাজ চলছে হাইকোর্ট বিভাগের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে।

শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ সিরিজ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ঢাকার তখনকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিকভাবে মানব ঢাল তৈরি করে তাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন। এ ঘটনায় আহত হন আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন, কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি।

বর্বরোচিত এ গ্রেনেড হামলায় নিহতরা হলেন- আইভি রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব:) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন এবং ইসাহাক মিয়া।

এএস

Wordbridge School
Link copied!