• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ব মিডিয়ায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০১৮, ০৮:০৬ পিএম
বিশ্ব মিডিয়ায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়

ঢাকা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকি ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
 
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বুধবার বেলা ১২টায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা আলোচিত দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এনিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যম বেশ গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রকাশ করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের সংবাদে বাংলাদেশের রায়ের ঘটনাকে লিড শিরোনাম করে ‘২০০৪ সালের হামলার ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত’, তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু শিরোনাম দেয়’ বাংলাদেশ: ২০০৪ সালের সমাবেশে হামলার ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড,

লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স তাদের শিরোনামে লেখে ‘বাংলাদেশের বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের শিরোনামে লেখে ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে হামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড’।

এবিসি নিউজ তাদের শিরোনামে লেখে, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার দায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড' এছাড়া সব বিদেশি গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।

১৪ বছর আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নৃশংস ওই গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বুধবার দুপুর ১২টায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা আলোচিত দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে ১৭ আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকি দুজন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কারাগারে থাকা ১৭ আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল(অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক দুই আসামি হলেন আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই ও জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন এবং হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল (উপস্থিত), মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব (উপস্থিত), মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির (উপস্থিত), আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক (উপস্থিত), হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া (উপস্থিত), আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার (উপস্থিত), মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (উপস্থিত), মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!