• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামকে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার খবরটি বিভ্রান্তিকর


নিউজ ডেস্ক মার্চ ২৫, ২০১৯, ১২:১৪ পিএম
ইসলামকে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার খবরটি বিভ্রান্তিকর

গত ২৫ মার্চ ২০১৯, সোমবার ‘বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম ইসলাম: ইউনেস্কো’ এরকম শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্ণ তথ্য বিভ্রাট ছিল। সংবাদটি সোনালীনিউজে প্রকাশিত হয়েছিলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্র ধরে। 

এরপর ‘www.boombd.com’ সোনালীনিউজের নিউজটিকে ‘ফেইক নিউজ’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। 

এমতাবস্থায়, ভুল তথ্য প্রকাশ করে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য সোনালীনিউজ আবারও লজ্জিত ও অনুতপ্ত। এছাড়া পুনরায় এরকম ভুল যেনো না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

 


পূর্বের হেডলাইন
বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম ইসলাম: ইউনেস্কো
পূর্বের নিউজটি

বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম ইসলাম- ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো (UNESCO)। এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনেস্কো। এর আগে ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বের সবগুলো ধর্ম নিয়ে গবেষণা চালায়। ওই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম কোনটি তা খতিয়ে বের করা।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশনের তুলনামূলক গবেষণা বিভাগের প্রধান রবার্ট ম্যাকগি বলেন, ‘ছয় মাসব্যাপী গভীর গবেষণা ও বিশ্লেষণের পর আমরা এই উপসংহারে উপনীত হয়েছি যে, ইসলামই বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। সংবাদ সম্মেলনে ইউনেস্কোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।’

এদিকে ঢাকা ও বাগদাদের সন্ত্রাসী হামলাসহ ইসলামের নামে চালানো সন্ত্রাসী হামলাগুলোর সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো যোগ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন ইউনেস্কো কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। ইসলামের অর্থ শান্তি।

বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা ইউনেস্কোর এই সনদ ও ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাইলামাও অন্যান্য ধর্মগুলোকে ইসলামের কাছ থেকে শান্তির শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন। আর কী করে অহিংস এবং অপরের প্রতি সহনশীল থাকা যায় সে চেষ্টাও করতে বলেছেন।

অনেক ইসলামী পণ্ডিতের মতে, ইসলাম আগে থেকেই শান্তির ধর্ম এবং বিশ্বসেরা ও সর্বশেষ ধর্ম হিসেবে পরিচিত ছিল। সূতরাং ইউনেস্কোর এই ঘোষণার কোন দরকার ছিল না। এতে বরং বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক বাড়বে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!