• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিয়ের পরদিন স্বামীর লিঙ্গ কাটলেন নববধূ, হাজতে চেয়ারম্যান!


লালমনিরহাট প্রতিনিধি মার্চ ১৮, ২০১৯, ০৬:১৬ পিএম
বিয়ের পরদিন স্বামীর লিঙ্গ কাটলেন নববধূ, হাজতে চেয়ারম্যান!

লালমনিরহাট: বিয়ের পরদিন ঝগড়া। এই ঝগড়ার জেরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেন নববধূ। আর নববধুকে আটকিয়ে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে জেলে গেলেন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট আদালতের বিচারক দায়রা জজ কেএম মোস্তাকিনুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলীকে (৫০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

চেয়ারম্যান শওকত আলী আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি গ্রামের করিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আদালত ও মামলার বিবরণে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর খামারটারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে গত বছর হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি এলাকার আশরাফুলের মেয়ে আরফিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যয়ে নববধূ আরফিনা তার স্বামী সুজনের লিঙ্গ কেটে দেন।

এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে নিজ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন পলাশী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী। এ সময় নববধুকে আটকিয়ে জোরপূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর করে নেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় ওই নববধূ আরফিনা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্বামীর পরিবারের কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলায় আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী সোমবার (১৮ মার্চ) আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

লালমনিরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!