• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেডরুমকে আনন্দময় করতে কয়েকটি টিপস


লাইফস্টাইল ডেস্ক অক্টোবর ১৯, ২০১৭, ০৩:৫৯ পিএম
বেডরুমকে আনন্দময় করতে কয়েকটি টিপস

ঢাকা: জীবন চলার পথে সঙ্গী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সারাদিন শত কর্ম ব্যাস্ততা শেষে বাসায় ফিরে সঙ্গীই এনে দিতে পরে প্রশান্তি। দাম্পত্যেরই এই বন্ধনকে বেশকিছু বদ অভ্যাস বিষিয়ে তুলতে পারে। আবার কিছু ভালো অভ্যাস পরে মধুর করতে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুম আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ঘুম ভালো হলে দেহ-মন সুস্থ থাকে।যুক্তরাষ্ট্রের অস্ট্রিনের মনোবিজ্ঞানী লি ল্যান্ড বলেন, দুজন মানুষ যদি শূন্যতা অনুভব করেন, তখন পারস্পরিক খেয়াল রাখা ও ভালোবাসার ক্ষেত্রে কম সাড়া দেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, কম ঘুম হলে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও সম্পর্কে চিড় ধরতে দেখা যায়। 

বিছানায় যাওয়ার আগে দম্পতিদের অভ্যাসগুলো সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। যে বাজে অভ্যাসগুলো সম্পর্কে প্রভাব ফেলে তার কয়েকটি সম্পর্কে জেনে নিন:

বিছানায় গিয়ে ফেসবুক-টেসবুক
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে। চাইলেই এই অভ্যাস কারো পরিবর্তন করা দুরহ হয়ে পড়বে। তবে, বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন চালানো বাদ দিতে বলেননি। শুধু কিছু সময় এটা সংবরণ করতে বলেছেন।  

মেলোডি লি নামের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, স্মার্টফোনের মতো এমন কোনো প্রযুক্তি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এতোটা একাকিত্ব সৃষ্টি করেনি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্কে অসন্তুষ্টির কারণ স্মার্টফোনে অতি নির্ভরতা। 
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, সম্পর্ক মধুর করতে বিছানায় আসার দু-এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোনকে বিদায় জানাতে হবে। এ সময়টা দুজন গল্প করে কাটাতে পারেন।

খোলামেলা আলোচনা
বিশেষজ্ঞ উইন্টার্স বলেন, দাম্পত্য জীবনে পিলোটক বা ঘনিষ্ঠ আলাপ যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুজনের মধ্যে আলোচনার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। উষ্ণতা আর স্নেহে ভরা ওই সময়টুকু পরবর্তী দিনের মেজাজ ঠিক করে দেয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ায়।

পৃথক ঘুমানো
মনোবিজ্ঞানী র‍্যাচেল সুসম্যান বলেন, দুজন আলাদা সময় ঘুমাতে যাওয়া ইতিবাচক হতে পারে। কারণ, প্রত্যেকে আলাদা সময় পায় এবং ভালো ঘুমাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই পৃথক থাকার বিষয়টি যেন দুজনের মধ্যে দূরুত্ব না বাড়ায়।

রোমান্টিক সময়কে অবহেলা
দাম্পত্যে সুখী হতে বেডরুমকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। এই সময় যতটা রোমান্টিক করা যায় ততটায় ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সুজান উইন্টারের মতে, দাম্পত্যে আদর-সোহাগের মাধ্যমে বন্ধন তৈরি হয়। বেডরুমের অভ্যাসগুলো ভালো হলে দুজনের অন্তরঙ্গতা বাড়ে। এই রোমান্টিক সম্পর্ককে অবহেলা করলে ধীরে ধীরে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হতে শুরু করে।

মন খারাপ করে ঘুমাতে যাওয়া
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুমাতে যাওয়ার আগে যতটা সুখ স্মৃতি নিয়ে ঘুমানো যায়। সম্পর্ক ভালো করার জন্য সমস্যা মিটমাট করে ঘুমাতে যাওয়া ভালো। অনেকে আবার এ নিয়ে একমত নন। অনেক সময় সমস্যা মিটমাট হয় না বলে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সকালটাও বাজে হতে পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!