বেতন নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রাথমিক শিক্ষকের চিঠি

বাধ্যতামূলক উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর মূল বেতন কমে যাওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ প্রতিবাদ জানিয়েছেন একজন প্রাথমিক শিক্ষক। সম্প্রতি মোশারফ হোসেন নামে এই শিক্ষকের এরকম একটি ‘প্রতিবাদী’ আবেদনপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লেখা চিঠিটি হুবহু সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো...

তারিখ-০৩-১২-২০১৯ইং

বরাবর

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

বিষয়- অযাচিত বেতন হ্রাস বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন।
জনাব, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি মো. মোশারফ হোসেন-সহকারি শিক্ষক চর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাঘাটা, গাইবান্ধা। চাকরিতে যোগদান ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ইং। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ইং সালের জুলাই মাসে পরপর ৩টি ইনক্রিমেন্ট পেয়ে নানা রকম কর্তন বাদে মোট উত্তোলন যোগ্য বেতন দাঁড়ায় ১৭৮৮৫ টাকা। উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (1).7১.7:9.) ডিগ্রী অর্জনের ফলে বর্তমানে বেতন কমে দাঁড়িয়েছে ১৭১২২ টাকায়। অর্থাৎ ৭৬৩ টাকা বেতন কমেছে। এটা কেন অবৈধ নয়? এই উপলক্ষে সবিনয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ সরকারের টাকার যদি এতই অভাব হয়ে থাকে যে, একজন স্কুল শিক্ষকের প্রাপ্য ইনক্রিমেন্ট থেকে টাকা কেটে নিতে হবে সেটাও আবার বাধ্যতামূলক উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর! তবে এর প্রতিবাদে আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যতদিন পর্যন্ত এই কর্তিত টাকার বিষয়ে সুব্যবস্থা গৃহীত না হবে ততদিন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে ৭৬৩ টাকা সমান ২ ভাগে ভাগ করে মানি অর্ডারের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।

সবিনয়ে জানাচ্ছি যে, উক্ত টাকা সরকারি তহবিলের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগালে জনগণ উপকৃত হবে।

বিনীত নিবেদক

খসরু

(মোঃ মোশারফ হোসেন)

সহকারী শিক্ষক

চর গোবিন্দপুর সপ্রাবি,

সাঘাটা, গাইবান্ধা।

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)

সোনালীনিউজ/এইচএন