• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেশি করে দান-সাদকার সময়


 ধর্মচিন্তা ডেস্ক মে ২৫, ২০১৯, ০১:৫৮ পিএম
বেশি করে দান-সাদকার সময়

ঢাকা: যিনি দাতা বা দানশীল, তার হাত দানগ্রহীতা বা দানগ্রহণকারীর হাত থেকে উত্তম। দাতা শ্রেষ্ঠ এ জন্য যে তিনি দানশীলতা ও বদান্যতার মাধ্যমে অন্যের উপকার করেন। আর মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। অন্য ১১ মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সাদকা করা উচিত। মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতদের বাস্তব শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রমজান মাসে দান-দক্ষিণা ও বদান্যতার হাত বেশি করে প্রসারিত করতেন। মাহে রমজানে তাঁর দানশীলতা অন্যান্য মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেত।

 এ মাসটিকে তিনি দানশীলতার ব্যাপারে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি মাহে রমজানে অন্যান্য সময় অপেক্ষা অধিক দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হতেন। প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থী দরিদ্রকেই তিনি দান করতেন। এ সময় কোনো প্রার্থী তাঁর কাছ থেকে বঞ্চিত হতো না। তাই রোজাদার ব্যক্তিকে ইবাদতে মগ্ন থেকে সদয় আচরণ, দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রোজার দ্বারাই মানুষ দানশীল ও আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যারা আত্মমর্যাদাশীল অথচ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত, তারা প্রকাশ্যে সাহায্য চাইতে লজ্জাবোধ করলেও তাদের থেকে দান আরম্ভ করা অপরিহার্য। আর দান-সাদকা করে রোজাদার ব্যক্তি অন্তরে কষ্ট অনুভব করলে সেই দান আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় ও পছন্দনীয় হয় না। তাই প্রাচুর্য থেকে দান করলে অধিক পুণ্য হয়। কেননা, এতে দাতার অন্তরে কোনো রকম কষ্ট হয় না। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাদের (ধনীদের) অর্থ-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা আল-জারিআত : আয়াত ১৯)। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘রমজান মাসে এক দিরহাম দান-খয়রাতের বিনিময়ে সহস্র দিরহামের পুণ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।’

মাহে রমজানকে সহানুভূতির মাস বলা হয়েছে। এ মাসে সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তি রোজা পালনের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদ গঠনে গরিব-দুঃখী, দুস্থ, অভাবী, অনাথ, এতিম, মিসকিন ও কপর্দকহীন পথচারীকে প্রয়োজনে অর্থ বণ্টন করে দেবেন। তারা ক্ষুধার্ত হলে প্রয়োজনে তাদের সেহরি-ইফতারের বন্দোবস্ত করবেন, এটা মাহে রমজানে দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের সুবর্ণ সুযোগ। ধনী ও বিত্তশালী রোজাদার ব্যক্তি বেশি টাকা দান করে যে পুণ্যের অধিকারী হবেন, অনুপাতে কম টাকা দানকারী বিত্তহীন ব্যক্তিও আল্লাহর কাছে সেই পুণ্যের অধিকারী হতে পারেন, যিনি বিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে খুশিমনে দান করবেন। দানের ব্যাপার শুধু টাকার অঙ্কের ওপর নির্ভর করে না, তা মনের ওপর নির্ভর করে। রসুল (সা.) বলেন, ‘আত্মার অভাবমুক্তিই হচ্ছে আসল অভাবমুক্তি।’ (বুখারি)।

পরিশেষে বলি, প্রত্যেককেই রমজানে রোজা পালনের সঙ্গে সঙ্গে স্বীয় ধন-সম্পদকে দুস্থ মানবতার সেবায় সাধ্যমতো ব্যয় করা, অপরকে দান-সাদকা করার মনোভাব পোষণ করা উচিত। হে দয়াময়, আমাদের দয়া কর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এসআই

Wordbridge School
Link copied!