• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেড়েছে সাইবার অপরাধ


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক মার্চ ২৬, ২০১৯, ০৫:৩৫ পিএম
বেড়েছে সাইবার অপরাধ

ঢাকা : দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে সাইবার অপরাধ ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইউটিউব, মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব অপরাধ হচ্ছে। এর শিকার ৫৩ ভাগই নারী।

এছাড়া ১৯-৩৫ বছর বয়সের লোকজনই সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। স্বচ্ছ ধারণার অভাব, লোকলজ্জা আর ভয়-ভীতির কারণে সাইবার অপরাধের শিকার ৭০ ভাগ ব্যক্তিই আইনের সহায়তা নেন না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিশন, বিভাগ ও ইউনিট।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সাইবার হেল্প ডেস্ক ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এবং পুলিশের পাঁচটি ইউনিটে সাইবার অপরাধ নিয়ে প্রতিদিন শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। আর এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে ত্রুটি থাকায় মোট মামলার অধিকাংশই খারিজ হয়ে যাচ্ছে।

বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী,  ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়েছে গত বছরই। এর মধ্যে ৭০ ভাগই ঝুঁকিতে আছেন। ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২০ ভাগ কোনও না কোনোভাবে সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আর মাত্র ১০ ভাগ ব্যবহারকারী সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন।

দেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। আর সাইবার অপরাধের ৭৫ ভাগ অভিযোগই ফেসবুক কেন্দ্রীক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হওয়া ৪৯ শতাংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।

শুধু ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছেই সাইবার অপরাধ নিয়ে বছরে অভিযোগ জমা পড়ে ২০ হাজারও বেশি। এর মধ্যে মহানগর পুলিশের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপসের মাধ্যমেই অভিযোগ জমা পড়ে ৬ হাজারেও বেশি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সাইবার হেল্প ডেস্কেও বছরে ১০ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে অভিযোগকারীদের প্রায় সবাই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা না করেই প্রতিকার চান। সাইবার অপরাধের ঘটনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়েছে এক হাজার ৫৭০ জন।

জানান যায়, অসংখ্য নারী প্রতিদিন সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি হতে চান না। আবার জিডি করলেও মামলা করতে চান না তারা। সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা ইউনিট, বিভাগ ও কমিশন বলছে, সাইবার অপরাধের শিকার হওয়ার পর যারাই সহায়তা চেয়েছে তারাই নিরাপদ হতে পেরেছে।

সিটিটিসির’র সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলিমুজ্জামান বলেন, ‘প্রযুক্তি নির্ভর এই অপরাধের সঙ্গে  জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে। সাইবার অপরাধের আলামত সংরক্ষণের ঘটনার শিকার ব্যক্তির ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।’ অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্তরা জিডি বা মামলা না করেই প্রতিকার চান বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!