• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈধতা পেল রাইড শেয়ারিং সার্ভিস


সচিবালয় প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০৩:৫৩ পিএম
বৈধতা পেল রাইড শেয়ারিং সার্ভিস

ঢাকা : অবশেষে দেশের রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধতা দিল সরকার। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘রাইডিং শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালার’ খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

পরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।

শফিউল আলম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই এই সেবার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১১টি শর্ত মেনে এই সেবা দেওয়া যাবে। সেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে লাইসেন্স নিতে হবে এবং তা নিয়মিত নবায়ন করতে হবে।

শফিউল আরও জানান,বর্তমানে ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়ার ক্ষেত্রে যে নীতিমালা আছে রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও সেই নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ হবে। পাঠাও সার্ভিসের মতো মোটরসাইকেলের মাধ্যমেও এই সেবা দেওয়া যাবে।

উবার, পাঠাওয়ের মত স্মার্টফোন অ্যাপনির্ভর ট্যাক্সি সেবার ক্ষেত্রে বিআরটিএ থেকে সেবাদানকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও মোটরযানের তালিকাভুক্তির সনদ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে একটি নীতিমালা অনুমোদন করেছে সরকার।

২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় ব্যক্তিগত যানবাহন দিয়ে যাত্রীসেবা দেওয়া শুরু করে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উবার। তার আগে একইভাবে মোটর সাইকেলে যাত্রীসেবা দেওয়া শুরু করে স্যাম। পরে আসে পাঠাও। এসব সেবা দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বিআরটিএ প্রথমে স্যামকে তাদের কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দেয়। পরে উবারকেও একই ধরনের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশের আইনে তাদের ওই কার্যক্রম নিষিদ্ধ। এরপর ২৯ নভেম্বর উবার ও স্যাম-এর প্রতিনিধিরা বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন।

মোবাইল অ্যাপভিত্তিক যাত্রীসেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনতে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খসড়া তৈরি শুরু করে বিআরটিএ।

বিআরটিএ-এর এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালককে প্রধান করে একটি কমিটি এই খসড়া নীতিমালা তৈরি করে। গত ২১ জুন এটি বিআরটিএ থেকে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!