• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘ব্যর্থতা আড়াল করতেই গণগ্রেফতার’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২০, ২০১৬, ০৪:২১ পিএম
‘ব্যর্থতা আড়াল করতেই গণগ্রেফতার’

গুপ্তহত্যা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতেই দেশব্যাপী গণগ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২০ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দেশব্যাপী গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে ১৩ থেকে ১৪ হাজার সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ পুলিশ প্রধান বলেছেন, ১৭৯ জনকে সন্দেহজনক জঙ্গি হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে বাকীরা কারা?’

‘আসলে সর্বদিক থেকে ব্যর্থ এই সরকার গুপ্তহত্যা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের ব্যর্থতাকে জনদৃষ্টির আড়াল করতেই গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে জঙ্গি দমনের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ছে’ বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলছেন যে জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যাশা করি ভারতবর্ষ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু তারা সমর্থন করছে সেই সরকারকে যারা দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর চড়াও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। সন্ত্রাস দিয়ে আন্দোলনে সফলতা আসে না। তাই দলের স্বার্থে নয়, দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই চলমান দুঃশাসনের পতন ঘটাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কর্মদিবসের ৫ দিনের মধ্যে ৩/৪ দিন আমাদের কোর্টে যেতে হয়। কারগার ভাঙতে হবে। রাজবন্দি বন্ধুদের মুক্ত করতে হবে। আন্দোলনের বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিজয় অর্জন করতে হবে। ওরা (আওয়ামী লীগ) যে যাই বলুক, এদের কথা কেউ বিশ্বাস করে না।’

দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন দেশ নেই। গণতন্ত্র বিপন্ন, মানুষের অধিকার নেই। দেশ এখন একেবারে ফ্যাসিবাদী সরকারের নিয়ন্ত্রণে পড়ে গেছে। সভা, সমাবেশ করতে দেয়না। এমনকি গতকাল (রবিবার) একটি ইফতার পার্টিও করতে দেয়নি।’

ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- আব্দুল্লাহ আল নোমান, খায়রুল কবির খোকন, আবুল খায়ের ভূইয়া, আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, কাজী আবুল বাশার, মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক, আব্দুল খালেক, জামিলুর রহমান নয়ন, লিটন মাহমুদ, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!