• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটিংয়ে নেমেই ধস, শুরুতে নেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৭:০৬ পিএম
ব্যাটিংয়ে নেমেই ধস, শুরুতে নেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট

ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই রান করতেই দুই উইকেট হারিয়েছে দলটি। সাদমান ইসলাম পাঁচ বল খেলে ফেরেন শূন্য রানে। আরও মমিনুল হক ছয় বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন। 

এর পর উইকেট থেকে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস (৫) এবং মোহাম্মদ মিঠুন (৬)। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ২০০ রানে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভারে ৪ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ৪৯ রান।

এর আগে গোলাপি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নতুন ইতিহাস তৈরি করল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারতের হয়ে তিনি প্রথমবার গোলাপি বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখালেন। তাইজুল ইসলামের বল লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে ক্যারিয়ারের ২৭ নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি।  মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটাকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রুপ দেবেন। কিন্তু সেটি পারেননি কোহলি। তাঁকে থামতে হয়েছে ১৩৬ রানে। ভারতের স্কোর তখন ৩০৮। ইবাদতে বলে তাইজুলের দুরন্ত ক্যাচের শিকার হন কোহলি। ১৯৪ বলে ১৮ চারের কল্যাণে ১৩৬ করেন তিনি। অবশ্য কোহলির আগেই ফিরে যান রবীন্দ্র জাদেজা (১২) আবু জায়েদের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর আল-আমিন ও জায়েদের তোপে ৩২৯ থেকে ৩৩১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। আউট হয়ে যান অশ্বিন (৯), উমেশ (০), ইশান্ত (০)। শেষ ভরসা হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা ১৬ রান করলে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে থাকার সময়ই কোহলি ড্রেসিংরুম থেকে ইনিংস ঘোষণা করে দেন। আল-আমিন ৮৫ ও ইবাদত ৯২  রানে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। আবু জায়েদ ২ উইকেট পেয়েছেন ৭৭ রানে। ৮০ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। ভারত এগিয়ে রয়েছে ২৪১ রানে। 

শুক্রবার ঘটনাবহুল এক দিন পার করল ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্স। যার শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তিনি ঘন্টা বাজিয়ে খেলার উদ্বোধন করেন। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে চেনা যায়নি। গোলাপি বলের অজানা আতঙ্কই মুশফিকুর রহিমদের খেয়ে ফেলেছে। যার ফল প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া। জবাবে ৩ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে ভারত। 

আগের টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মায়াঙ্কা আগারওয়াল এদিন ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁকে ফিরিয়েছেন আল-আমিন। দারুন শুরু করা রোহিত শর্মাকেও (২১) অল্পতেই বিদায় করেছেন ইবাদত হোসেন। রিভিউ নিয়েও এ যাত্রায় বাঁচতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটের ‘হিটম্যান’। তাঁকে আউট করে সৈনিকের কায়দায় স্যালুটও দিয়েছেন তিনি। যদিও এর আগেও ইবাদত এভাবেই সেলিব্রেশন করেছেন। তাঁকে আরও একবার সেলিব্রেশন করার সুযোগ করে দিলেন চেতশ্বর পূজারা। ফিফটি করার পর তিনি বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ইবাদতের বলে থার্ড স্লিপে পূজারা ক্যাচ তুলে দেন সাদমানের হাতে। ১০৫ বলে ৫৫ রান করেন পূজারা। বাউন্ডারি মেরেছেন আটটি। 

বাংলাদেশের ইনিংসে তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দলও বেশিদূর যেতে পারেনি। ১০৬ রানেই শেষ হয়েছে মুমিনুলদের ইনিংস।একের পর এক ব্যাটসম্যান উইকেটে এসেছেন আর ফিরে গিয়েছেন।  গোলাপি টেস্টের শুরুটা ভালো করার ইঙ্গিত দিয়েও পারলেন না ইমরুল কায়েস। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান উঠতেই ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লু হয়েছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এলবিডব্লুয়ের আবেদন উঠেছিল। আম্পায়ার আউটও দিয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ যাত্রায় আর বাঁচতে পারলেন না। মাত্র ৪ রান করেই ইমরুলকে ফিরতে হলো প্যাভিলিয়নে। অধিনায়কত্বের চাপ মুমিনুলের জন্য বোঝা হয়ে গেল কি না কে জানে! ৭ বল খেলে একটা রানও করতে পারলেন না। উমেশ যাদবের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে মুমিনুলের ক্যাচটি এক হাতে নিলেন রোহিত শর্মা।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুন গিয়ে কোথায় থিতু হওয়ার চেষ্টা করবেন উল্টো উমেশ যাদবের সুইং বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন। মুশফিকুর রহিম এসে মোটে চার বল খেলতে পারলেন। মোহাম্মদ শামির বলে প্লেড অন হয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন। মুমিনুল-মিঠুনের মতো তিনি শূন্য রানে ফিরলেন। মনে হচ্ছিল সাদমান ইসলাম নিজের ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারবেন।

কিন্তু তিনিও পারলেন না। উমেশ যাদবের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন। তার আগে ৫২ বলে পাঁচ চারের সাহায্যে ২৯ রান করেছেন সাদমান। এরপর শামির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছেন লিটন।  ‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে লিটনের জায়গায় ব্যাট করতে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও নিয়মে আছে, কারও বদলি নামাতে হলে একই ধরনের ক্রিকেটার হতে হবে। মিরাজ এমনিতে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান বা কিপার-ব্যাটসম্যান নন। তাই মিরাজকে খেলতে হবে স্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবে। মিরাজ নেমেও লাভ হয়নি। শামি-ইশান্তদের গোলা কেউই সামলাতে পারেননি। ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। উমেশ যাদব তিনটি আর শামি নিয়েছেন ২টি উইকেট।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!