ব্যাটে লাগার পরও এলবি দিলেন আম্পায়ার, হারল বাংলাদেশ

ঢাকা: যুব এশিয়া কাপের ফাইনারে তীরে এসে তরি ডুবেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ যখন জয়ের দ্বাপান্তে দাঁড়িয়ে ঠিক তখনই তানজিম হাসান সাকিবকে এলবিডব্লু দেওয়া হলো। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, বল ব্যাটে লাগার পর প্যাডে লেগেছে। তারপরও আম্পায়ার অন্ধের মতো আঙুল তুলে দিলেন। ওই ওভারেই শেষ ব্যাটসম্যান শাহীন আলম বোল্ড হলে বাংলাদেশ হেরে যায় ৫ রানে। যুব এশিয়া কাপ জিতে নিল ভারত। ভারতের ১০৬ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১০১ রানে। 

ভারতের ১০৭ রানের সহজ লক্ষ্য টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা কঠিন করে ফেলেন। ১৬ রানে চলে যায় বাংলাদেশের ৪ উইকেট। এই অবস্থায় নেমে দলকে ভরসা দিতে থাকেন আকবর। ৪০ রানে ৫ আর ৫১ রানে ৬ উইকেট চলে গেলে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। এই ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। অধিনায়ক আকবর ও মৃত্যুঞ্জয় বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। ৭৮ রানে ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিরে যান আকবর। এরপর আউট হন মৃত্যুঞ্জয় (১৯)। এই দুজনের বিদায়ের পর চোয়ালবদ্ধ হয়ে ক্রিজে ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান। কিন্তু ১০১ রানের মাথায় আম্পায়ারের ইচ্ছাকৃত ভুলে আউট হলেন সাকিব! টিভি ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন বল আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু আম্পায়ার মাঠে থেকে সেটা বুঝতে পারলেন না। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১২ রান করেছেন সাকিব। ৩৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন রাকিবুল হাসান। ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আনকোলেকার। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)  কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত অধিনায়ক ধুরব জুরেল। তাঁর এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের যুবাদের সামনে বুমেরাই হয়েছে। ৩২.৪ ওভারে ভারত ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায়। তৃতীয় ওভারেই আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। উইকেটকিপার আকবর আলীর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ওপেনার অর্জুন আজাদকে (০)। পরের ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে সেই আকবরকেই ক্যাচ দেন তিলক ভার্মা (২)। ষষ্ঠ ওভারে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন সুবেধ পার্কার (৮)।
ভারত বড় জুটি গড়ে তোলার আগেই নিজের প্রথম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন শামিম হোসেন। প্রথমে সাশাওয়াত রাওয়াতকে (১৯) এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেন। ওই ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই বরুন লেভেনডেকে আউট করেন। তাঁর ক্যাচটি ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন মৃত্যুঞ্জয়। ভুলবোঝাবুঝিতে রান আউ হয়েছেন আনকোলেকার (২)। 

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ভারত ১০৬ রান সংগ্রহ করে। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন করণ লাল। ৮  রানে ৩  উইকেট নিয়েছেন শামিম। ৩ উইকেট পেয়েছেন মৃতুঞ্জয় চৌধুরীও। এজন্য তাঁকে খরচ করতে হয়েছে ১৮ রান। 

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ