• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্ব পেতে কারা লড়ছেন, এগিয়ে কে?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ৯, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্ব পেতে কারা লড়ছেন, এগিয়ে কে?

ঢাকা: সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তিতে ব্যর্থ হয়ে থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই তার আসনে বসার জন্য ইতোমধ্যেই লড়াই শুরু হয়েছে। তবে এই লড়াইয়ে নেমেছেন ১১ জন প্রার্থী। বর্তমানে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কে বসতে পারেন বা কাকে বেছে নেয়া হতে পারে কনজারভেটিভ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তা এখনই নয়, জানা যাবে জুলাইয়ের শেষের দিকে।

সোমবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতা দাখিল করার শেষদিন। পার্লামেন্টের যেকোনো কনজারভেটিভ সদস্য প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার প্রার্থিতায় আটজন সহকর্মী বা কনজারভেটিভ আট এমপির সমর্থন লাগবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যেমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে থেরেসা মের ঘোষণার পরপরই। তবে প্রথমে চারজনের নাম এসেছিল। পরে একে একে এ লড়াইয়ে নেমেছেন ১১ এমপি। এর মধ্যে ‘যোগ্যতার বিচারে’ এগিয়ে আছেন দেশটির চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন।

আলোচনার শুরুতেই আসছে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। তবে এটাও সত্য, দৌঁড়ে এগিয়ে থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন, এটা ভুল। অতীত বলে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয় কনজারভেটিভ নেতা। বেশির ভাগ সময়ই পিছিয়ে পড়ে থাকারাই নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বরিস জনসন নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এবারই নতুন নয়; আরও একবার নেমেছিলেন। জিততে পারেননি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বর্তমান পরিবেশমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিটপন্থী নেতা মাইকেল গোভ। লক্ষণীয় বিষয় হলো- এবারও ৫১ বছর বয়সী এই গোভ প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হয়েছেন। দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন।

এদিকে একইসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন বলে নাম এসেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়াট ও কনজারভেটিভ ১৯২২ কমিটির প্রেসিডেন্ট গ্রাহাম ব্রাডির। পাশাপাশি এই ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম। সাবেক শ্রম বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাস্থার ম্যাকভি এই দুইজনের মধ্যে একজন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে ঘোষণা দেয়ার পর ৭ জুন শুক্রবার দলীয় প্রধান পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ান থেরাসা মে। তবে নতুন করে আরেক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে। যদিও পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পরে শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া। এমপিরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করে নেবেন। এতে করে বাদ পড়ে যাবেন অনেকে। এভাবে যখন মাত্র দুইজন প্রার্থী থাকবেন লড়াইয়ে, তখন দলটির সব সদস্য ভোট দিয়ে যেকোনো একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন। আগামী ২২ জুন এই ভোট হওয়ার কথা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!