• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাগ্যবান এরশাদ বনাম আমাদের ভাগ্যচক্র


মহিউদ্দিন খান মোহন জুলাই ২০, ২০১৯, ০৮:০৩ পিএম
ভাগ্যবান এরশাদ বনাম আমাদের ভাগ্যচক্র

ফাইল ছবি

ঢাকা : হ্যাঁ, আমি তাকে ভাগ্যবানই বলব। নইলে একসময় নিন্দিত হলেও পরবর্তীকালে এমন নন্দিত হতে পারতেন না। সবচেয়ে মাজার বিষয় হলো, একদিন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছিল, তাকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিল, তার বিচার ও শাস্তি চেয়েছিল, পরবর্তীকালে তাদেরকেই দেখা গেছে তাকে পক্ষভুক্ত করতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে। এক সময়ের পতিত স্বৈরাচার সদ্যমৃত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্পর্কে উপরোক্ত কথাগুলো একেবারে অযৌক্তিক নয় বোধহয়। সাধারণত স্বৈরশাসকদের পরিণতি হয় শোচনীয়। তাদের কেউ হন দেশ থেকে নির্বাসিত, কেউ কারাগারে জীবনের বাকি সময় কাটান, আবার  ফাঁসির দড়িতে ঝুলে কারো কারো ইহকালের সমাপ্তি ঘটে। এরশাদ তার ব্যতিক্রম। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পতন হওয়ার পরও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ করতে পেরেছেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদের আগমন স্বাভাবিক পথে ছিল না। বন্দুকের নলের মুখে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তিনি। তারপর নয়টি বছর অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে দেশ শাসন করে গেছেন। এরশাদের ক্ষমতা দখলকে কেউ ভালোভাবে নেয়নি। তবে তৎকালীন সময়ে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ শত্রুর পতনে খুশিই হয়েছিল। এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করেন, তখন বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সরকারের অবস্থা ছিল টালমাটাল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির অগোছালো অবস্থা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং তা সামাল দিতে বয়ঃবৃদ্ধ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের হিমশিম অবস্থা এরশাদকে ক্ষমতা দখলের পথ সুগম করে দেয়। এর সঙ্গে ছিল বিএনপিরই একটি অংশের গোপন যোগসাজশ। ওই অংশটিই ১৯৮৩ সালে আলাদা বিএনপি গঠন করে, যেটি বিএনপি (হুদা-মতিন-ভোলা) নামে পরিচিত। জিয়াউর রহমান কেবিনেটের তিন মন্ত্রী শামসুল হুদা চৌধুরী, ডা. এম এ মতিন ও রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া ছিলেন এর মূল হোতা। পরবর্তীকালে এরা তিনজনই এরশাদ মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন এবং জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এভাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাকেই এরশাদ বগলদাবা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

এরশাদ যে সময় ক্ষমতা দখল করেন, তখন দেশের পরিস্থিতি অতটা খারাপ ছিল না; যতটা তিনি তার ক্ষমতা দখল-পরবর্তী প্রথম ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন। একজন প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন থেকে খুনের আসামি ইমদুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে পুঁজি করেই তার ক্ষমতা দখল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটান। অনেকে বলে থাকেন, একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিশেষ কায়দায় ইমদুকে ওই বাসভবনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে তার এ ক্ষমতা দখলকে সুনজরে দেখেনি দেশবাসী। কারণ তিনি নির্বাচিত যে সরকারকে উৎখাত করে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছিলেন, সে সরকারের ছিল বিপুল জনসমর্থন। ফলে ব্যাপক জনসমর্থন এরশাদ কখনোই পাননি।

স্বৈরশাসক হিসেবে এরশাদ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন আপন গুণেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এমন কোনো পন্থা নেই যা তিনি অবলম্বন করেননি, এমন কোনো হাতিয়ার নেই যা তিনি ব্যবহার করেননি। রাজনৈতিক দল করতে গিয়ে তিনি অবলম্বন করেছিলেন ‘হর্স ট্রেডিং নীতি’। অর্থ ও ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতা কেনা-বেচার হাটে এরশাদ ছিলেন ধুরন্ধর ক্রেতা। বিভিন্ন দল থেকে নেতা ভাগিয়ে নিয়ে গড়ে তোলেন জাতীয় পার্টি। আমাদের দেশে অনেক কিছুর অভাব থাকলেও ক্ষমতার হালুয়া-রুটির লোভে নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে রকেট গতিতে ভোল-বোল পাল্টানো নেতার অভাব কোনোকালেই ছিল না। ফলে রাজনৈতিক দল গঠন করার জন্য লোকের অভাব হয়নি এরশাদের।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদ ক্ষমতা দখল করলেও তার এ পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা তা-ই মনে করেন। কারো কারো মতে, রাষ্ট্রপতি জিয়ার নিহত হওয়ার পরপরই তিনি ক্ষমতা দখলের চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু জিয়ার জনপ্রিয়তা এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তখন নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন। কেউ কেউ মনে করেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমানকে হত্যার চক্রান্তের পেছনে এরশাদের হাত ছিল। যারা এটা মনে করেন, তাদের যুক্তি হলো— জিয়া হত্যার মূল কাহিনী যাতে প্রকাশ না হয়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্য সবই অনুমাননির্ভর কথা। জেনারেল মঞ্জুর বেঁচে থাকলে হয়তো আসল রহস্য জানা যেত। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে থানার পরিবর্তে সেনানিবাসে নিয়ে হত্যা করে জিয়া হত্যা রহস্যকে চিরদিনের মতো মোটা আবরণে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

এরশাদ স্বৈরশাসক ছিলেন এটা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। ক্ষমতা দখল এবং তা টিকিয়ে রাখতে তিনি কূটকৌশল, অপরাজনীতি এমনকি হিংস্রতা অবলম্বন করতেও দ্বিধা করেননি। তার হাতে রয়েছে নূর হোসেন, নাজিরউদ্দিন জেহাদ, বিল্লাল হোসেন, রাউফুন বসুনিয়া, সেলিম, দেলোয়ার, জাফর, জয়নাল, দিপালী সাহাসহ বহু সংখ্যক গণতন্ত্রকামী ছাত্র-যুবকের রক্তের দাগ। এখন হয়তো তাদের নাম আমাদের রাজনীতিকরা বিস্মৃত হয়েছেন। কিন্তু এদেশের মাটি থেকে যে সে রক্তের দাগ মুছে যায়নি! আন্দোলন-দমনে নৃশংস পন্থা অবলম্বনে এরশাদ দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন না। একটি উদ্ধৃতি থেকেই তা পরিষ্কার বোঝা যাবে। এরশাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শুরুতে ১৯৮৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পনেরো ও সাতদলীয় জোট সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে সচিবালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। ওই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছিল। বিক্ষোভ শান্ত হলে সন্ধ্যায় এরশাদ সচিবালয়ে এসেছিলেন সরেজমিনে সব দেখতে ও শুনতে। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এরশাদ যেসব কথা বলেছিলেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হামিদুল হক ছানা; যিনি সেদিন ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তার স্মৃতিগ্রন্থ ‘কেস হিস্ট্রি-১’-এ লিখেছেন, এরশাদ পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কী হয়েছে? মন খারাপ কেন? গুলি করেছেন, কতজন মেরেছেন? আরো মারলেন না কেন? বললাম ইলেকশন করেন, তা করবে না। হরতাল করবে, জ্বালাও-পোড়াও করবে। সচিবালয়ে আগুন লাগাবে। গুলি করবে না কী করবে? আপনাদের সকলকে রিওয়ার্ড দেব। মন খারাপ করার কিছু নাই। আই অ্যারেস্টেড মিসেস জিয়া (পৃষ্ঠা-২১০, প্রকাশকাল- ফেব্রুয়ারি, ২০১২)। সুতরাং আজ যারা এরশাদকে স্বৈরশাসক বলতে দ্বিধান্বিত, তাদের একটু পেছনে ফিরে তাকানো উচিত।

দল ভেঙে, বিভিন্ন দল থেকে ভাগিয়ে নিজের দল খাড়া করার ক্ষেত্রে সফলই ছিলেন এরশাদ। মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ, হুদা-মতিনের নেতৃত্বাধীন খণ্ডিত বিএনপি, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে ডেমোক্রেটিক লীগ, আতাউর রহমান খানের জাতীয় লীগ, আনোয়ার জাহিদের এনডিপি, কাজী জাফর আহমদের ইউপিপিসহ অনেক খুচরো দলের একক নেতাদের নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন জাতীয় পার্টি। দেশের সব রাজনৈতিক দলের বর্জনের মুখে ১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে ‘নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি’র তকমা লাগাতে সক্ষম হন। এরপর ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নবগঠিত দল জাতীয় পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। জোটের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সাতদলীয় জোট সে নির্বাচন বর্জন করে। আওয়ামী লীগ প্রথমে বর্জন করলেও শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মূলত ওই নির্বাচন ও তার দ্বারা গঠিত সংসদে আওয়ামী লীগের যোগদানের মধ্য দিয়ে এরশাদের শাসন বৈধতা পেয়ে যায়। এদিক দিয়ে কুশলী রাজনীতিক হিসেবে এরশাদের প্রশংসা না করে পারা যায় না।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তীব্র গণআন্দোলনের মুখে এরশাদের পতন হলেও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তিনি হারিয়ে যাননি। বলা যায় বহাল তবিয়তেই ছিলেন তিনি। অবশ্য ৪৭টি মামলার দুটিতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সর্বমোট ছয় বছর তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে তিনি এদেশের রাজনীতিতে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলতে পেরেছিলেন। তার সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, যে দুই প্রধান দল তার বিরুদ্ধে নয় বছর লাগাতার আন্দোলন করে তাকে গদিচ্যুত করেছিল, সেই তারাই আবার সমর্থন পাওয়ার আশায় তার কাছে ছুটে গেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এরশাদের এ সখ্যের কথা কারো অজানা নেই। কিন্তু তাকে কাছ পেতে বিএনপির আকুলতা অনেককেই বিস্মিত করেছে। ২০০৫ সালে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এরশাদের বারিধারাস্থ বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বিষয়টি অনেকেই ভালোভাবে নেননি। বিশেষত যারা বিশ্বাস করেন, জিয়া হত্যার নেপথ্যে এরশাদের ভূমিকা ছিল। বলাই বাহুল্য, তারেক-বাবরের সে মিশন ব্যর্থ হয়েছিল এবং এরশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থেকে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি তার অবস্থান বদল করেননি।

বিশ্ব ইতিহাসে অনেক স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটেছে, পতনও হয়েছে। পাকিস্তানের আইয়ুব খান, ইরানের শাহেন শাহ রেজা শাহ পাহলবি, ফিলিপাইনের ফার্দিনান্দ মার্কোস, রোমানিয়ার নিকোলাই চসেস্কুসহ বহু স্বৈরশাসক জনতার রুদ্ররোষের মুখে বিদায় নিয়েছে। পতনের পর এরা কেউই আর রাষ্ট্রক্ষমতা বা রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারেনি। এক্ষেত্রে এরশাদই বোধকরি ব্যতিক্রম। জনবিক্ষোভের মুখে পতন ঘটার পরও তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ দাপটের সঙ্গেই বিচরণ করে গেলেন। তিনি নিজেকে এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার অন্যতম নিয়ামকে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর সেজন্যই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এরশাদের সমর্থন পেতে ছিল মরিয়া। এরশাদ ভাগ্যবান এজন্য যে, একদিন যারা তার পতনের জন্য আন্দোলন করেছিল, তারাই তাকে সাদরে বরণের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছিল। যারা তার শাস্তির দাবিতে রাজপথ কাঁপিয়েছে, তারাই তার মৃত্যুর পর আবেগঘন শোকবার্তা দিয়েছে। একজন কুশলী রাজনীতিক হিসেবে এরশাদের এ সাফল্য কী অস্বীকার করার উপায় আছে? তার এ সফলতার অপর পিঠেই রয়েছে ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার দুর্ভাগ্য। কারণ তারা যাকে সঘৃণায় ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল, তাকেই এখন বরণ করতে হচ্ছে। এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া মানুষগুলোর ভাগ্যচক্রে বোধকরি এটাই লেখা ছিল। এরপর হয়তো মরহুম এরশাদের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে কেউ ‘পতিত স্বৈরাচার’ শব্দ দুটিও ব্যবহার করবেন না। ‘রাজনীতিতে চিরশত্রু চিরবন্ধু নেই’- এই ডিটারজেন্ট হয়তো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেবে এরশাদের স্বৈরশাসনের যত কালো দাগ। শহীদ নূর হোসেনদের আত্মা এতে হয়তো কষ্ট পাবে। কিন্তু তাতে কার কী আসে যায়!

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!