• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, যা বলল চীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, যা বলল চীন

ঢাকা : ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছে চীন। চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ভারত-পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের প্রতি এ আহ্বান জানায় বেইজিংয়।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘আমরা আশা করি ভারত আর পাকিস্তান উভয়ই সংযত হয়ে সমঝোতার চর্চা করবে। যা দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক। আর এর মাধ্যমেই তাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।’

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে দুই দেশের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন। পুলওয়ামাকাণ্ডের পরও মর্মান্তিক সেই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল চীন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশের গাড়ি বহরে জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলা চালালে অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়। তারপর থেকেই পাকিস্তানে হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ভারত। সেই হামলার ১২ দিন পর পাল্টা হামলা চালালো ভারত।

ভারতীয় বিমানবাহিনী বলছে, তাদের ১২টি মিরেজ ২০০০ জেট বিমান এ হামলায় অংশ নেয় এবং ১ হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য পাকিস্তান এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় মাত্র একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের ওই এলাকার গ্রামবাসী। কিন্তু ভারত দাবি করেছে, ঐ এলাকায় জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ও লঞ্চ প্যাডে হামলা চালিয়ে ৩শ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ভারতের বেশ কিছু গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাকিস্তানের গ্রামবাসী জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে চারবার ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন তারা। তবে এই ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ২৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আজমল বলেন, আমরা বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়তে দেখেছি এবং একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখেছি। সেখানে বোমা নিক্ষেপ করায় চারটি গর্ত তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমনকি পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও হতাহতের খবর প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। দেশটি দাবি করেছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। তারা মুজাফফরাবাদ সেক্টরে অনুপ্রবেশ করেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পরপরই বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন তিনি।

এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় সামরিক বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর পাকিস্তানি জঙ্গি বিমানের ‘তাড়া খেয়ে পালানোর’ আগে বালাকোটের কাছে ‘বোমা ফেলে’ গেছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

পরবর্তীতে আরও এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, সময়মত উপযুক্ত সাড়া দিয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। ফলে পাক বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় সেনারা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!