• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৯:১৫ পিএম
ভারতও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত

ঢাকা: ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তান যদি যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকে তাহলে ভারতও প্রস্তুত। জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবহরে জঙ্গি হামলায় ৪৪ জন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নিবে ভারত।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারত কোনো আক্রমণ চালালে প্রতিশোধ নিবে তারা।  ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠিতে যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। বেলুচিস্তানের মিলিটারি বেসকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়, কোয়েটা ক্যান্টনমেন্ট স্থিত পাক সেনার বেস হেডকোয়ার্টাস কোটা লজিস্টিকস এরিয়ার (HQLA) পক্ষ থেকে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জিলানি হাসপাতালে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা সংক্রান্ত বন্দোবস্তের কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সিন্ধু এবং পাঞ্জাবের সিভিল বা মিলিটারি হাসপাতালে আহত সেনাদের নিয়ে আসা হতে পারে। এজন্য ২৫ শতাংশ বেড খালি করে তা সংরক্ষিত রাখা ও জরুরি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইমরানের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে দেশের সামরিক বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ইমরান খান তার দেশের সেনাবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর যেকোনো হামলার চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ জবাব দেয়ার কর্তৃত্ব দিয়েছেন।

দুই দেশের এমন মারমুখী অবস্থানের মধ্যে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট সেখানকার ১০টি রাজ্যকে বলেছেন, সারাদেশে বসবাসকারী কাশ্মীরিদের বয়কট বা আক্রমণ যেন না করা হয়। পুলওয়ামা রাজ্যে সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনার পরে তাদের প্রতি হুমকি ও সহিংসতার ঘটনার খবর আসলে এই নির্দেশনা দেয় আদালত।

আদেশ পাওয়া ১০টি রাজ্য হলো- জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরখণ্ড, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মেঘালয়া, ছত্তিশগড়, ওয়েস্ট বেঙ্গল, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গাগোইয়ের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, চিফ সেক্রেটারিয়েটদের, ডিজিপিদের এবং দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যাতে করে কাশ্মীরি এবং অন্যান্য নৃগোষ্ঠীদের হুমকি, হয়রানি ও বয়কট এড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

তার আগে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তারিক আদিবের ফাইল করা পিটিশনের শুনানিতে এ রায় দেন আদালত। পিটিশনার মেঘালয়ার গভর্নর তথাগত রায়ের বিতর্কিত টুইটের কথাও উল্লেখ করেছেন। সেখানেও সব কাশ্মীরিকে বয়কটের উস্কানি দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে অন্তত ৪৪ জন ভারতীয় আধাসামরিক সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে।

হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।

ভারতশাসিত কাশ্মীরে দুই দশকের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর ‘বদলা’ নেয়ার ঘোষণা দেন। তার অভিযোগ পাকিস্তানের মদদে এ হামলা হয়েছে।

এই ঘটনার পরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাশ্মীরিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ অ্যাখ্যা দিয়ে হামলা ও হয়রানি করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!