• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাল না লাগলে ছেড়ে দিন প্রবাসী স্বামীকে পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী!


নিউজ ডেস্ক জুন ১৩, ২০১৯, ১১:৪৬ এএম
ভাল না লাগলে ছেড়ে দিন প্রবাসী স্বামীকে পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী!

ঢাকা: এই সংবাদের সকল তথ্য ভুক্তভোগী আমাদেরকে লিখে পাঠান আমরা হুবহু তা তুলে ধরলাম। পুরো ঘটনা পড়লে কষ্ট লাগে। কি না হয়নাই মামলা শালিস সব তাররপর ও এই কুকর্ম কেন এই মহিলার। ভাল না লাগলে ছেড়ে দেন, আমার জন্য অনেক ছেলেই লাইন ধরে আছে। স্বামীকে পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী আকতিয়া। ২০১৬ সালের ৬ জুন প্রবাসী রাশেদের সাথে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় চট্টগ্রাম ষোলকবহরের জালাল আহম্মদ সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ আলমগিরের মেয়ে আকতিয়া মুবাস্বিরা আলম কাশমীর (২২)। বিয়ের পর কিছুদিন ভালভাবে সংসার করলেও বিয়ের ৩ মাস পর যখন রাশেদ পুনরায় প্রবাসে চলে যায় তখনি আকতিয়ার আসল চেহারা উম্মোচিত হতে থাকে।

বেপরোয়া চলাফেরা রাত জেগে পরপুরুষের সাথে ভিডিও কলে কথা বলা, শ্বশুর শ্বাশুড়ি স্বামী কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে যখন তখন ঘরের বাহিরে চলে যাওয়া ও পর পুরুষের সাথে দেখা করা অতিষ্ঠ করে তোলে সবাইকে। বিষয়গুলো আকতিয়ার মা বাবাকে জানালে তারাও মেয়ের পক্ষ নিয়ে উল্টো কাবিনের ১৫ লাখ টাকা নগদ দিয়ে তাদের মেয়েকে তালাক দিয়ে দিতে বলে। এত কিছুর পরও পারিবারিক লজ্জা আর আকতিয়ার গর্ভে রাশেদের সন্তানের কথা বিবেচনা করে রাশেদের পরিবার বিষয়গুলো সমাজের কারো সাথেই শেয়ার করেনি কিন্তু আকতিয়াকে অন্তত তার গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে হলেও ভাল হয়ে যেতে বলে।

এমতাবস্থায় ২০১৭ সালের মে’র ২৫ তারিখ রাশেদ সিংগাপুর থেকে কাতার ট্রান্সফার হবার দরুন ফিংগার প্রিন্ট করতে দেশে আসে। ফিংগার প্রীন্ট করার পরপরই কোম্পানির পিড়াপিড়িতে তাকে এক সপ্তাহ পর শত অনিচ্ছা স্বত্তেও কাতার চলে যেতে হয়। কিন্তু যাওয়ার আগে বাচ্চার ডেলিভারীর যাবতিয় সবকিছু ঠিকঠাক করে দিয়ে যায় যাতে তার অনুপস্থিতীতে তার স্ত্রী আকতিয়া ও তার পরিবারের কোন সমস্যা না হয়। কাতার যাওয়ার একদিন পরই অর্থাৎ ৩রা জুন নির্দিষ্ট ডেলিভারী তারিখের ৭ দিন আগেই তাদের পরিবারে তাদের ছেলে সন্তান মোহাম্মদ আবিয়ানের জন্ম হয়।

মাত্র একটি দিনের জন্যে সে তার সন্তানকে দেখে যেতে পারেনি তবুও হয়তো মনে কিছুটা শান্তনা ছিল যে ৩ মাস পর ছুটি তে এসে নিজ সন্তানকে কোলে নিবে কিন্তু কে জানতো যে এই একদিনের আফসোস ই তাকে সারাজীবন করতে হবে। সন্তান জন্মের ঠিক ৫ দিন পরই আকতিয়ার পরিবার আক্তিয়াকে তাদের বাড়িতে রেখে দেখাশোনা করবে বলে নিয়ে যায় যা তাদের পূর্বপরিকল্পনা ছিল কিন্তু সেখানে গিয়েই আকতিয়া রাশেদ কে প্রবাসে ফোন করে বলে যে সে আর ওখানে যাবে না এবং আকতিয়ার নামে একাউন্ট করে সেখানে রাশেদের সব টাকা পয়সা জমা রাখতে হবে এবং আকতিয়ার কাছেই টাকা পাঠাতে হবে যদি সংসার করার ইচ্ছা থাকে।

আকতিয়ার চরিত্র যেহেতু আগে থেকেই খারাপ ছিল তাই প্রবাসী রাশেদ আকতিয়াকে তাদের বাড়িতে কিংবা আলাদাভাবে ভাড়া বাসায় রাখতে রাজি হয়নি। তাছাড়া এই অন্যায় আবদার মেনে নিতেও রাশেদ রাজি ছিল না। পরবর্তীতে রাশেদ তাদের এই অন্যায় প্রস্তাবে রাজি না হলে রাশেদ ও তার পরিবারকে মিথ্যা যৌতুকে ও নারী নির্যাতন মামলা এবং বাকি জীবনে রাশেদের সন্তানের মুখ আর দেখাবে না বলে হুমকি দিতে থাকে এবং রাশেদকে imo whatsapp messanger সবকিছু থেকে তার স্ত্রী ও শ্বশুর শ্বাশুড়ি ব্লক করে দেয়। এদিকে নিজ সন্তানকে একটু ভিডিও কলে দেখার জন্য প্রবাসী রাশেদ ও তার পিতামাতা প্রতি নিয়ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে।

এভাবে দীর্ঘ ২ মাস যাওয়ার পর কোনরকম উপায় না দেখে রাশেদের পিতামাতা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন BHRC বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। BHRC উভয় পক্ষকে ডেকে মেয়ে ও তার পরিবারকে তাদের অন্যায়ের জন্য কড়া ভাবে শাসিয়ে দিলে।

মেয়ে ও তার পরিবার পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ করবে না মর্মে স্বীকারক্তি দিয়ে পুনরায় রাশেদের পরিবারে ফিরে আসে এবং রাশেদ কে ইমুতে আনব্লক করে বাচ্চাকে দেখায়। কিন্তু যে খারাপ সে যেন কখনোই আর ভাল হয় না। নতুন করে রাশেদের বাসায় ফিরে আসার পর এই আক্তিয়া যেন আগের চেয়েও বেশি খারাপ হয়ে যায়। সারারাত ফোনে পরপুরুষের সাথে উচ্চস্বরে শব্দ করেই কথা বলতে থাকে যেন সবাই বুঝতে পারে যে সে রাতজেগে পরপুরুষের সাথে কথা বলছে।সন্তান হবার পরও কেন এসব করছে এবং পরকিয়াই যদি করবে তাহলে কেন রাশেদ কে বিয়ে করলো সন্তানই বা কেন নিলো এ সব প্রশ্ন করলে আকতিয়া সরাসরি রাশেদকে বলে ‘ আমার যা ইচ্ছা তাই করবো তোমার ভাল না লাগলে কাবিনের ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দাও, আমার জন্য অনেক ছেলেই লাইন ধরে আছে’।

আকতিয়ার এমন বক্তব্যের পর রাশেদ আক্তিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলের কল লিস্ট বের করে এবং দেখতে পায় যে ০১৯৯৫৬৮১৩৩৩ একটি নাম্বারে আক্তিয়া সারারাত কথা বলে যা ওবায়দুর রাহমান আরজুর ব্যবহৃত নাম্বার (পিতা আজিজুর রহমান, মাতা নাসিমা বেগম, ওলি মিয়া রোড, মিয়া খান নগর, পূর্ব বাকলিয়া, চট্টগ্রাম)। এই ওবায়দুর রহমান আরজু নামের আকতিয়ার দূর সম্পর্কের আত্বীয়র সাথেই আকতিয়ার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মূলত আকতিয়ার এই দূশ্চরিএের কারনেই আকতিয়ার পিতামাতা তাড়াহুড়া করে আকতিয়াকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই কিন্তু আকতিয়া বিয়ের পরও যখন পরিবর্তন হচ্ছিলো না তখন আর্থিকভাবে দূর্বল আকতিয়ার পিতামাতা আকতিয়াকে দেনমোহরের ১৫ লাখ টাকা নিয়ে রাশেদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘরজামাই রেখে অন্য্যত্র বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে যা আকতিয়ার মা নিজের মুখেই রাশেদের মাকে বলে। কিন্তু আইন সম্পর্কে হয়তো তাদের ধারনা ছিল না।

আক্তিয়ার পরিবার যদি জানতো যে আক্তিয়া তালাক দিলেও রাশেদ কে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ি তাহলে হয়তো আকতিয়া ২ দিনও সংসার করতো না কারন কাবিনের মোটা অংশের টাকাটা আর পরকিয়া টাই আক্তিয়ার কাছে বড় ছিল। কিন্তু লোকলজ্জা আর সন্তানের কথা ভেবে রাশেদ ও তার পরিবার যে বেশি কিছু করবে না এটা খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছিল আক্তিয়া ও তার পরিবার। কারন বারবার অপরাধ করার পরও রাশেদের পরিবার তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে যাচ্ছিল শুধু পরিবারের মান সম্মানের কথা ভেবে।

মুলত আকতিয়া ও তার পরিবার পরবর্তীতে পরিকল্পনা করেছিল রাশেদের টাকা পয়সা আকতিয়ার নামে করে নেয়া নচেৎ তালাক নিয়ে কাবিনের ১৫ লাখ টাকা আদায় করা কারন দুটোতেই লাভ ছিল। তাছাড়া তারা তাদের দুশ্চরিত্রা মেয়ে আকতিয়াকেও সামলাতে পারছিলো না এবং আকতিয়াকে দ্বিতীয় বার অন্যএ বিয়ে দেয়ার মত আর্থিক পরিস্থিতিও তাদের ছিল না।

গত ২৩ অক্টোবর ২০১৭ রাশেদের পিতামাতা তাদের গ্রামের বাড়ি হাটহাজারির মাদার্শা গ্রামে যেতে চাইলে আক্তিয়া অন্য অজুহাত দেখিয়ে উনাদের সাথে তাদের গ্রামের বাড়ি যায় না। রাশেদের পিতামাতা মাদার্শা গ্রামের বাড়ি গেলে আক্তিয়া ও তার পিতামাতা পুর্ব পরিকল্পনা মত আবারো আক্তিয়াকে আক্তিয়ার বাড়ি নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় আক্তিয়ার কাছে রাখা অলংকার সহ রাশেদের মায়ের আলমারিতে রাখা অলংকারও নিয়ে চলে যায় বলে রাশেদের পরিবার দাবি করে। সন্ধ্যায় রাশেদের পিতা মাতা বাসায় ফিরে আক্তিয়াকে বাসায় না দেখে আকতিয়ার পিতা মোহাম্মদ আলামগির কে ফোন করে। আক্তিয়ার পিতা রাশেদের পিতাকে আগের মতই পুনরায় বলে আক্তিয়াকে ভাড়া বাসায় আলাদা করে রাখতে হবে এবং টাকা পয়সা আকতিয়ার নামে একাউন্ট করে রাখতে হবে এবং আকতিয়ার কাছেই।

টাকা পাঠাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে রাশেদের পিতা কোন উপায় না দেখে আবারও মানবাধিকার কমিশন বরাবর ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে ততক্ষণাৎ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন থেকে সাত সদস্যের একটি টীম রাশেদের বাসায় আসে এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে যার ভিত্তিতে রাশেদের পরিবার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৪ ধারায় একটি সাধারন ডায়েরি করে।বিগত ২৩/৪/২০১৭ আক্তিয়া ও তার পরিবার রাশেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে (৪ ধারায়) একটি মিথ্যা যৌতুকের মামলা দায়ের করে ( সিআর ২০৪/১৮)।

মামলার এজাহারে দেখানো হয় এপ্রিলের ১৮ তারিখ ২০১৮ সালে রাশেদ আক্তিয়াকে ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রাশেদের নিজ কক্ষে প্রচন্ড মারধর করে পরবর্তীতে আক্তিয়ার পিতা আক্তিয়াকে তাদের বাড়ি নিয়ে চলে যায়। অথচ রাশেদ তখন দেশেই ছিলো না।সেই মিথ্যা মামলায় কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরয়ানা জারি করা হয় এরপর রাশেদ ১৫ জুলাই ২০১৮ দেশে আসে এবং ১৬ জুলাই সরাসরি আদালতে গিয়ে তার পাসপোর্ট টিকেট বোর্ডিং পাস দেখায় যে সে দেশেই ছিলো না এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।আদালত রাশেদের উপযুক্ত প্রমানের ভিওিতে তাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অস্থায়ী জামিন প্রদান করে।

কিন্তু এই অস্থায়ী জামিনের কারনে পরবর্তীতে রাশেদ কে প্রতি মাসে দেশে এসে মামলায় হাজিরা দিতে হয় যেটা একটা প্রবাসীর জন্যে আসলেই অসম্ভব ব্যপার। রাশেদের জামিন ও দেশে আসার খবর জানা মাত্রই আক্তিয়া ও তার পরিবার গত ৩০শে জুলাই ২০১৮ সালে রাশেদের কাছে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয় যেখানে লিখা থাকে ২রা জুন ২০১৭ রাশেদ যৌতুকের জন্য আক্তিয়া কে ক্লিনিকে রেখেই কাতার চলে যায় এবং আক্তিয়ার পিতামাতাই আক্তিয়ার যাবতিয় খরচ পাতি বহন করে আর তার পর থেকেই অর্থাৎ ৩রা জুন ২০১৭ থেকেই আক্তিয়া তার বাবার বাড়ি আছে যা তার করা যৌতুকের মামলার সাথে বিন্দূমাত্রও মিল নেই। কারন যৌতুকের মামলায় বলা হয়েছে ১৮ এপ্রিল ২০১৮ সালে রাশেদ আকতিয়াকে যৌতুকের জন্য তার নিজ কক্ষে মারধর করে আর তালাক নামায় উল্লেখ আছে সন্তান জন্মের পর অর্থাৎ ৩ রা জুন ২০১৭ সাল থেকেই সে তার বাবার বাড়ি।

তাহলে কোন টা সত্য? ২০১৭ থেকে যদি আকতিয়া তার বাবার বাড়ি থাকে তাহলে ২০১৮ তে রাশেদ তাকে কিভাবে মারলো? এদিকে সন্তান জন্ম দানের যাবতীয় খরচ পাতির কোন প্রমান ও তারা দিতে পারে নি, দেয়াটাও সম্ভব না কারন সবি মিথ্যা ও তাদের সাজানো নাটক। যার প্রমান হিসেবে চট্টগ্রাম সার্জি স্কোপ ক্লিনিকে বিল পরিশোধের পর রাশেদের পিতার দস্তখত সহ সেই মানি রিসিট যেখানে রাশেদের সন্তান আবিয়ানের জন্ম হয়, একই তারিখে প্রাইম ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন’র ট্রানজেকশন ডিটেইলস সবকিছুই আছে রাশেদের কাছে।

দিনের পর দিন এভাবে মানসিক নির্যাতনের পর শেষমেশ রাশেদের মা বাধ্য হয়ে পূর্বের সেই সাধারন ডায়েরির ভিত্তিতে আক্তিয়ার পরকিয়া ও অলংকার আৎসাতের জন্য ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে। আদালত মামলাটির সুষ্ঠ তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই বরাবর হস্তান্তর করে। পিবিয়াই অফিসার মোহাম্মদ আলি দুই পক্ষকে পিবিআই অফিসে হাজির করে এবং সেখানে আক্তিয়া তার ওবায়দুর রাহমান আরজুর (২৭)সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার কথা নিজ মুখে স্বীকার করে।

পরবর্তীতে পিবিআই অফিসার তার তদন্তের ভিওিতে আকতিয়ার পরকিয়ার স্বীকারক্তি অনুযায়ি মামলাটি ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারা থেকে ৩২৩/৫২০ ধারায় তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে। পরকিয়া একটি জঘন্য ও ঘৃন্যতম কাজ যা স্ত্রী কিংবা স্বামী যেই করুক না কেন। অথচ এত বড় অপরাধ হবার পরও আক্তিয়া, মিতুর মত মেয়েরা নির্দিধায় এ ঘৃন্যতম কাজটি করে যাচ্ছে শুধুমাত্র দেশের প্রচলিত আইনে স্ত্রীর কোন শাস্তির বিধান না থাকার কারনে।

আক্তিয়ার পরকিয়ার শাস্তি রাশেদ ও তার পরিবারই বা কেন পাচ্ছে? কেন পরকিয়ার উপযুক্ত প্রমান থাকার পরও এবং নিজ মুখে আক্তিয়া তার পরকিয়া স্বীকার করার পরও তাকে দেনমোহরের টাকা দিতে হবে? স্বামী সন্তান থাকার পরও যে সব মেয়েরা পরকিয়ায় লিপ্ত থাকে শুধুমাত্র নিজের শারিরীক চাহিদার জন্য তাদের কাছে সন্তানই বা কতটুকু নিরাপদে থাকতে পারে? এমন অনেক মেয়েকেইতো এখন দেখা যাচ্ছে যে পরকিয়ার নেশায় নিজ সন্তানকেই হত্যা করছে, তাহলে পরকিয়ায় লিপ্ত আক্তিয়ার কাছে রাশেদের সন্তান আবিয়ানই বা কতটুকু নিরাপদে আছে?

তালাকের পর আবিয়ানকে দেখার ও নিরাপত্তার জন্য রাশেদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে আদালতে। দেশ বিদেশ থেকে ক্রয় করা আবিয়ানের জন্য সমস্ত জিনিসপত্রই রাশেদের বাসায় পড়ে আছে। আকতিয়ার পরিবারকে ফোন করে এসব দিতে চাইলে আকতিয়ার মা কামরুন নাহার বলে ‘ ওগুলা ওখানে রেখে দেন, আবিয়ানের জন্য টাকা পাঠান আমরা কিনে দেব।

একটা মাসুম বাচ্চাকে জিম্মি করে তার পিতাকে রীতিমত ব্লাকমেইল করছে। কিন্তু আইনের ধরাবাঁধা নিয়মের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে আছে এই হতভাগা পিতা রাশেদ। এখন শুধু এই অপেক্ষাতেই আছে কবে আদালত তাকে তার সন্তান আবিয়ান কে দেখার সুযোগ করে দিবে, আবিয়ান তার সমস্ত জিনিসপত্র নিজেই তার বাবার হাত থেকে তুলে নিবে, আবিয়ান আর তার বাবার কোন কিছু থেকেই বঞ্চিত হবে না।

রাশেদ এমনই এক হতভাগা পিতা যে নিজ সন্তান আবিয়ানকে জন্মের পর হতে দেখেছে শুধুমাত্র ১ বার তাও আবিয়ানের জন্মের ১৯ মাস পর যখন পিবিআই অফিসে তদন্তের জন্য দুই পরিবারকে ডাকা হয়েছিলো তখন তা না হলে হয়তো এখনো নিজ সন্তান আবিয়ান কে দেখা হত না তার। সেদিন কখনো না দেখা বাবাকে চিনতে না পেরে আবিয়ান রাশেদের কোলে পর্যন্ত যেতে চাইছিল না। এ সব কিসের শাস্তি রাশেদের? কি অপরাধ রাশেদের? বিয়ে করাটাই কি তাহলে পাপ ছিল? এসব প্রস্নের উত্তর না পেয়েই হয়তো আকাশের মত ছেলেরা সবশেষে আত্বহত্যার মত কঠিন পথ বেছে নিচ্ছে। রাশেদ হয়তো আকাশের মত আত্বহত্যা করেনি কিন্তু বেঁচে থেকেও তো মরে আছে সে।

সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত রাশেদ সবসময় আতংকের মধ্যে থেকে প্রবাসে দিন যাপন করছে অন্তত এতটুকু বিশ্বাস নিয়ে যে দেশের আইন হয়তো একদিন আক্তিয়ার পরকিয়ার উপযুক্ত বিচার করে তার সন্তান আবিয়ান কে তার কাছে ফিরিয়ে দেবে। এ ছাড়া আর কিছুই তার চাওয়ার নেই।
পরিশেষে, এ সব আকতিয়া, মিতুর পরকিয়ার বিচার যদি না হয় তাহলে সামনে আরো লাখো আকতিয়া, মিতুর জন্ম হবে এ দেশে। আরো লাখো আবিয়ান এতিম হবে এবং হয়তো আরো ঝরে যাবে ডাঃ আকাশের মত আরো তরতাজা প্রাণ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!