• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভুতুড়ে আউট হয়ে বাংলাদেশকেও বিপদে ফেললেন তামিম


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ২, ২০১৯, ০১:০৭ পিএম
ভুতুড়ে আউট হয়ে বাংলাদেশকেও বিপদে ফেললেন তামিম

ঢাকা : যা ভাবা হয়েছিল তাই হলো। হ্যামিল্টনে রানের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৭১৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ১০৮ রান তুলেছে। তামিম ইকবাল অপরাজিত আছেন ৬২ রান করে। এর মধ্যে একবার জীবন পেয়েছেন।

তবে তামিমের মতো ভুল করে আর জীবন পাননি সাদমান ইসলাম। ওয়াগনারের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন টেন্ট বোল্টের হাতে। তার আগে করতে পেরেছেন ৩৭ রান। মুমিনুল হককে (৮) উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফিরিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট স্লিপে রস টেলরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে।

ভরসা হয়ে ছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম। মনে হচ্ছিল, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন তিনি। কিন্তু টিম সাউদির বলে ডাক করতে গিয়ে তাঁর বাউন্সি বলটি তামিমের ব্যাটে লেগে গেল উইকেটের পেছনে। সেটি লুফে নিতে ভুল করলেন না বিজে ওয়াটলিং। অবশ্য এতে তামিমকে দোষ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিজেই বুঝতে পারেননি বলটা এভাবে তাঁর ব্যাট স্পর্শ করবে। আউট হওয়ার পর হতবিহ্বল তামিম খানিকবাদে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন। ফলে ৭৪ রানে থেমে গেল তাঁর ইনিংসটি। ৮৬ বলে ১২টি চার আর এক ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৪। এখনো নিউজিল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে ৩০৭ রানে। ৬ উইকেটে এই রান পুষিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ লিড নিতে পারবে-এত বড় স্বপ্ন দেখাটা বাড়াবাড়িই। মাহমুদউল্লাহ ১৫ আর সৌম্য সরকার ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।  

নিউজিল্যান্ডের রান পাহাড়ে ওঠার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব কেন উইলিয়ামসনের। এই কিউই অধিনায়ককে আউটই করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। আর এর পুরো ফায়দা তুলে নিয়েছেন উইলিয়ামসন অপরাজিত ২০০ রান করে। তিনি ২০০ রান করেছেন ২৫৭ বলে ১৯টি চারের সাহায্যে।
 
বিনা উইকেটে দ্বিতীয় দিনে ৮৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ড। পুরো সময় ব্যাট করতে না পারার আক্ষেপ ঝরেছিল তামিম ইকবালের কণ্ঠে, প্রথম দিনের খেলা শেষে। কেন এই আক্ষেপ, তা শুক্রবার হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম লাথাম ও জিত রাভাল। ব্যাটিংবান্ধব হয়ে ওঠা উইকেটের সদ্ব্যবহার করে দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুই ওপেনারই।

দলীয় ২৫৪ রানে ভেঙেছে তাঁদের ওপেনিং জুটি। ১৩২ রান করা রাভালকে দ্বিতীয় সেশনে তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। খালেদ আহমেদ রাভালের ক্যাচ নেওয়ার আগে দিনের খেলার প্রায় ৪২ ওভার বাংলাদেশের ফিল্ডাররা শুধু বল কুড়িয়েছেন।

টম লাথামকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেয়নি বাংলাদেশ-সান্ত্বনা বলতে এটুকুই। তাঁকে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকার। অবশ্য তার আগেই ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন লাথাম। এই রান তিনি করেছেন ২৪৮ বলে ১৭টি চার আর তিনটি ছক্কায়। শুধু বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না রস টেলর। তাঁকে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলে ফিরিয়েছেন সেই সৌম্যই।

দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে তুলেছে ৪৫১ রান। এখান থেকে তৃতীয় দিনে নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেলেন উইলিয়ামসন ডাবল সেঞ্চুরি করে। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির ইনিংস খেলেছেন নিল ওয়াগনার ও কলিন ডি গ্রাণ্ডহোম। ওয়াগনার ৩৫ বলে ৪৭ এবং গ্রাণ্ডহোম ৫৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। গ্রাণ্ডহোম তাঁর ইনিংসে চারটি বাউন্ডারির বিপরীতে ছক্কাই মেরেছেন পাঁচটি।

বাংলাদেশের কোনো বোলারই বলার মতো পারফর্ম করতে পারেননি। সৌম্য সরকার ৬৮ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৪৯ ওভার বল করে উদারহস্তে রান দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি উইকেট নিতে তিনি খরচ করেছেন ২৪৬ রান। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও ইবাদত হোসেন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!