• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
সংসদকে জানালেন এলজিআরডিমন্ত্রী

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে


সংসদ প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৯, ২০১৮, ০১:৩৬ পিএম
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে

ঢাকা : বিভিন্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। তবুও দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে। জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার (২৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, মাত্র ১৩ শতাংশ জনগণকে দূরবর্তী উৎস থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ শতাংশ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে।

একই দলের মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার ও টিপু সুলতানের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, নিরাপদ পানি ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে পানির স্তর ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা হতে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা পরিষদের পুকুর, দীঘি, জলাশয়সমূহ পুনঃখনন ও সংস্কারে একটি প্রকল্প নিয়েছে। এর আওতায় সারা দেশে মোট ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে, যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং মেয়াদকাল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় নিরাপদ পানির জন্য নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১২২টি পৌরসভায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এছাড়া ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প, ৪০টি পৌরসভা ও গ্রোথ সেন্টারে অবস্থিত পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং থানা সদর ও গ্রোথ সেন্টারে অবস্থিত পৌরসভাগুলোয় পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!