• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সমাবেশ স্থগিত, পরিস্থিতি থমথমে


ভোলা প্রতিনিধি অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০২:১৬ পিএম
ভোলার সমাবেশ স্থগিত, পরিস্থিতি থমথমে

ভোলা : ভোলায় প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় আজকের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় এই সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

ফেসবুকে আল্লাহ ও মহানবী সা:কে কটূক্তি করা নিয়ে ভোলায় পুলিশের সাথে জনতার সাথে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১০ পুলিশসহ প্রায় দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে শতাধিক মুসল্লিকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে, ৪৩ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর ১৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাহবুব পাটওয়ারী (১৪), শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাহফুজ (৪৫), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার মিজান (৪০)। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে একজন আল্লাহ ও রাসূল সা: সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ পাঠায় এবং স্ট্যাটাস দেয়।

এর প্রতিবাদে রোববার (২০ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

অন্য দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানায়। পুলিশের অনুরোধে এ দুই ইমাম সকাল ১০টায় যেসব লোক আসছেন তাদের নিয়ে দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করেন।

কিন্তু এতক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা ওই দুই ইমামের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং সেখানে থাকা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মসজিদের ইমামের রুমে আশ্রয় নেয়।

একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তারা নিজেদের বাঁচানোর জন্য উত্তেজিত মুসল্লিদের ওপর ফাকা গুলি ছুড়ে। এতে সেখানে থাকা মুসল্লিরা আরো উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়।

সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এতে চার মুসল্লি নিহত হয়েছেন এবং ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক মুসল্লি আহত হন।

তাদের মধ্যে অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মাদরাসাছাত্র ও একজন কলেজের ছাত্র রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!