• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় ঢাকা ফেরতরা মানছেন না হোম কোয়ারেন্টাইন


ভোলা প্রতিনিধি মার্চ ২৯, ২০২০, ১১:০৬ এএম
ভোলায় ঢাকা ফেরতরা মানছেন না হোম কোয়ারেন্টাইন

ছবি: সংগৃহীত

ভোলা: বিদেশ ফেরতরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও দ্বীপ জেলা ভোলায় রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা কয়েক হাজার বাড়ি ফেরা মানুষ নিয়ে শঙ্কিত স্বাস্থ্যবিভাগ। স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা এসব মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে স্থানীয়দের সঙ্গে হাট-বাজার ও পাড়া মহল্লায় আড্ডা দিচ্ছেন। এতে শঙ্কিত স্থানীয়রা।

জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সকাল-বিকেল বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইনের আদেশ অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই বাজার করে বাড়ি ফিরছেন কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে আসা সদর উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের টাইলস মিস্ত্রী মো. ইব্রাহিম। 

বাঘাটারহাটে স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে মিশে কেনাকাটার পাশাপাশি প্রকাশ্যে খেতেও দেখা যায় তাকে। জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকলেও জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে অবাধে চলছে কেনাকাটা। শত শত মানুষের একসাথে ঘোরাফেরাও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসা লোকজন স্থানীয়দের সাথে মিশে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

এদিকে, ঢাকা থেকে আসা ইব্রাহিম বলেন, বাজার করতেই বাইরে বের হয়েছি। বাইরে বের হলেও মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করি। 

বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর পশ্চিম ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, চেষ্টা করছি মানুষজন যাতে এক জায়গায় জড় না হয়। সব জায়গাতেই আমাদের মানুষ সেট করা আছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ঢাকা থেকে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, বেশকিছু মানুষ ঢাকা থেকে ভোলায় প্রবেশ করেছে। এদেরকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। 

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলার শীর্ষ দুই কর্মকর্তা।  ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য প্রত্যেক সদস্যকে তাদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করা। সেই নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা সেটা করব।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, কেউ যদি আইন অমান্য করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা চাই জনগণের সুরক্ষা। ১০ দিনের ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিজ জেলায় এসেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!