• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ১১:৪২ এএম
ভয়াবহ চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর

ফাইল ছবি

ঢাকা: চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছরেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন হয়নি পুরান ঢাকায়। দফায় দফায় সুপারিশ দেয়া হলেও কাঁচামাল গুদাম ব্যবস্থাপনায় নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এ নিয়ে ক্ষোভ পুরান ঢাকার মানুষের। 

তাদের প্রশ্ন নিমতলী, চুড়িহাট্টার মতো কত দুর্ঘটনা ঘটলে টনক নড়বে প্রশাসনের? বছর পেরিয়েছে, দেয়ালের পোড়া ক্ষতর মতো এখনো তাজা হারানো স্বজনদের স্মৃতি। চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর কেমিকেল গুদাম সরাতে বা দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘনবসতি এলাকায় নেয়া হয়নি কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ। 

ঝুঁকি নির্বাপণের ব্যবস্থাপনা ছাড়াই গুদামজাত হচ্ছে কাঁচামাল। যেসব অভিযান শুরু হয়েছিল সেসব দায়িত্বও ভুলে যেতে বসেছে সংস্থাগুলো। নিমতলীর ট্র্যাজিডির পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়েছিল ১৭ দফা সুপারিশ, চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর স্বল্প ও দ্বীর্ঘ মেয়াদি ৩১ দফা দিয়েছে একই মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, স্বল্পমেয়াদের জন্য হলেও রাসায়নিক ও কাঁচামালের গুদামগুলো আবাসিক এলাকা থেকে দ্রুত স্থানান্তরে অস্থায়ীভাবে পুরান ঢাকাতেই আলাদা ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হলো। ৭২টি তাজা প্রাণ কেড়ে নেওয়া সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মামলার চার্জশিট এক বছরেও আদালতে জমা দিতে পারেনি পুলিশ। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিও এখন জামিনে মুক্ত।

এদিকে, ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছে জুরাইনে অস্থায়ী রাসায়নিক পল্লীর কার্যক্রম। নৌ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৫৪টি ছোট বড় গুদামসহ এটির কাজ শেষে হবে সেপ্টেম্বরে। গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের চুড়িহাট্টা ওয়াহিদ ম্যানশনে আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থ থাকায় পার্শ্ববর্তী পাঁচটি ভবনে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুরো এলাকা পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। পরে ৭২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মো. আসিফ আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এক বছরেও মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী। বার্তা২৪.কমকে আসিফ আহম্মেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছি, এখনও পাইনি। এতদিনেও মামলার কোনো অগ্রগতি নেই, এটা খুব দুঃখজনক।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ বলছে, মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। অজ্ঞাত অন্য আসামিদের তিনজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছানো যায়নি। আবার ঢামেক থেকে মরদেহের ময়না তদন্ত প্রতিবেদনও আসেনি। ওই প্রতিবেদন ছাড়া চার্জশিট জমা দেওয়া যাচ্ছে না।

আর এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মো. আসিফ আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এক বছরেও মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী। আসিফ আহম্মেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছি, এখনও পাইনি। এতদিনেও মামলার কোনো অগ্রগতি নেই, এটা খুব দুঃখজনক।

এদিকে, মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ বলছে, মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। অজ্ঞাত অন্য আসামিদের তিনজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছানো যায়নি। আবার ঢামেক থেকে মরদেহের ময়না তদন্ত প্রতিবেদনও আসেনি। ওই প্রতিবেদন ছাড়া চার্জশিট জমা দেওয়া যাচ্ছে না।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা (চকবাজার থানা থেকে যিনি বদলি হয়ে গেছেন) মোরাদুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে কোন ভুল ছিল না। সিস্টেমেটিক কিছু ভুলের জন্য আসামিরা জামিন পান। আমরা এজাহারে প্রাইভেট কারের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এবং ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ভবনের কথা উল্লেখ করেছি। অথচ ওই দুটি নম্বরের কোনো ভবনের মালিক নন আসামিরা। দুই ভাই ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনের স্বত্বাধিকারী। এসব ভুল থাকায় আসামি প্রথমে জামিন পান।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!