• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মওলানা ভাসানী সমীপে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব


শাহ আহমদ রেজা মার্চ ১১, ২০২০, ০১:১৭ পিএম
মওলানা ভাসানী সমীপে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব

ঢাকা : মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চমৎকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে এরই মধ্যে কয়েকটি নিবন্ধে লিখেছি। লিখেছি বলে শুধু নয়, এ কথা প্রমাণিত সত্যও যে, জাতির এই দুজন মহান নেতার সম্পর্ক ছিল পিতা ও পুত্রের মতো। এই সম্পর্কের কারণে মাঝেমধ্যেই বঙ্গবন্ধু সন্তোষে চলে যেতেন। যেতেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বাকশাল গঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তিনি গেছেন। কিন্তু সহজবোধ্য কারণে তথা রাজনৈতিক অঙ্গনে যাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হতে পারে, সে জন্য প্রতিবার তিনি গেছেন গোপনীয়তার সঙ্গে। গেছেন রাতের বেলায়। গিয়ে ‘পিতার মতো’ নেতার সঙ্গে পরামর্শ করেছেন।

আজকের নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর একটি ঐতিহাসিক সফর প্রসঙ্গে লিখব। এই সফর তিনি করেছিলেন ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ। তার আগেই ২৫ জানুয়ারি বাকশাল বা বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল। এখানে কয়েকটি তথ্য উল্লেখ করা দরকার। স্বাধীনতার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান জাতীয় নেতা হিসেবে অনেক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। খাদ্যের দাবিতে ১৯৭৩ সালের মে মাসে অনশন করেছেন, ভুখা মিছিল করেছেন। এভাবে পরিচালিত আন্দোলনের একপর্যায়ে, ১৯৭৪ সালের ৩০ জুন ঢাকায় গ্রেপ্তার করার পরদিন তাকে সন্তোষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই তিনি ‘গৃহবন্দি’ হিসেবে অবস্থান করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের আলোচ্য সফরকালেও তিনি আইনত বন্দি অবস্থায় ছিলেন এবং ‘গৃহবন্দি’ ভাসানীর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। উল্লেখ্য, সপরিবারে মুজিব হত্যার মর্মান্তিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সরকারিভাবে মওলানা ভাসানীকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের এই সফরকে কেন্দ্র করে তখনো যেমন, পরবর্তীকালেও তেমনি অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে। বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ এমনকি এ কথাও লিখেছেন, ‘...মওলানা ভাসানীর প্রস্তাবিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি সাহায্যের অঙ্গীকার করলে মওলানা ভাসানী নয়া ‘বাকশাল’ পার্টিকে আশীর্বাদ করেন। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পঁচাত্তরে সন্তোষ গমন করলে তাকে বিপুলভাবে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল। এমনকি রাস্তায় রাস্তায় তোরণ পর্যন্ত শোভা বর্ধন করেছিল...।’

কথাগুলো কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নয়। প্রকৃত সত্য হলো, বাকশালের জন্য ‘আশীর্বাদ’ লাভ কিংবা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারি সাহায্যদানের অঙ্গীকার করার জন্য রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব সেবার সন্তোষ যাননি। কাগমারীতে ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজকে সরকারি কলেজে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া ছিল তার সে সফরের প্রধান উদ্দেশ্য। যে কেউ ১৯৭৫ সালের ৮ ও ৯ মার্চের সংবাদপত্র দেখতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় মওলানা ভাসানীর যে ছবিটি ঐতিহাসিক মর্যাদা অর্জন করেছে, সেটা ওঠানো হয়েছিল ওই সফরের দিনটিতেই।

বিষয়টি পরিষ্কার করার প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক কয়েকটি তথ্য উল্লেখ করা দরকার। বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই মওলানা ভাসানী সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছিলেন (১ জানুয়ারি, ১৯৭৫)। আজীবন সংগ্রামী জননেতা মওলানা ভাসানীর অবসর গ্রহণের এই অবিশ্বাস্য ঘোষণার তাৎপর্য নিশ্চয়ই আলোচনার দাবি রাখে। এর ব্যাখ্যা হিসেবে একটি কথাই সম্ভবত যথেষ্ট যে, অত্যাসন্ন রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতি সমর্থন প্রদান কিংবা একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলানোর অনিচ্ছা থেকেই তিনি অমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাকশালের প্রতি ‘আশীর্বাদ’ জানানোর ইচ্ছা থাকলে মওলানা ভাসানী আর যা-ই হোক রাজনীতি থেকে অবসর নেবার মতো কৌতূহলোদ্দীপক সিদ্ধান্তে আসতেন না এবং সে অবস্থায় ‘উপদেষ্টা’ ধরনের কোনো পদ সৃষ্টি করে তাকেও বাকশালের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার চমৎকার সুযোগ বঙ্গবন্ধুও নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতেন না। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি ঘটেনি এবং অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই যেহেতু মওলানা ভাসানী রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, তাই এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, বাকশালের প্রতি ‘আশীর্বাদ’ জানানোর কোনো প্রশ্নই তখন ছিল না। বরং পাছে বাকশালে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন এসে যায়— মূলত এ আশঙ্কাই মওলানা ভাসানীকে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিল।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজনে পরবর্তীকালে করা যাবে। আপাতত ‘আশীর্বাদ’ প্রসঙ্গে কেবল এটুকুই বলা যায় যে, মওলানা ভাসানী সেবার তার স্নেহাস্পদ ‘মজিবর’কে ব্যক্তিগতভাবে ‘আশীর্বাদ’ করেছিলেন, বাকশালকে নয় (বঙ্গবন্ধুকে মওলানা ভাসানী ‘মজিবর’ বলে ডাকতেন)। কিন্তু তারও আগে বঙ্গবন্ধুকে তিনি কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন, সতর্ক করেছিলেন এবং উচ্চারণ করেছিলেন এক ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী। ঘটনাটি ঘটেছিল উল্লেখিত কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত দরবেশ হজরত শাহ জামান (র.)-এর মাজারের অভ্যন্তরে। উপদেশ দেওয়ার একপর্যায়ে মওলানা ভাসানী দেশ এবং দেশবাসীর স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে কিছু অঙ্গীকার করতে বলেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ‘না হলে’ সহযোগে এমন একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই নির্মম সত্যে পরিণত হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু সেদিন একটিও কথা উচ্চারণ করেননি, দাঁড়িয়েছিলেন কেবল মাথা নত করে এবং মাজারের বাইরে এসেই তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের ঘটনাটি সম্পর্কে রিপোর্ট না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে আমার পরিচিতরা এখনো বিভিন্ন স্থানে কর্মরত রয়েছেন। কেউ কেউ লিখবেনও বলেছিলেন। খুব আগ্রহী পাঠকদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদের পরিচয় জানানো যেতে পারে। ভবিষ্যদ্বাণীটির কথা আমি অবশ্য এই মুহূর্তে লিখিত ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই না।

বাস্তবে মওলানা ভাসানী নন, বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকীরা। কারো কারো রিপোর্ট ও নিবন্ধে সংবর্ধনা এবং তোরণ নির্মাণের যে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, সে কথা সত্য হলেও তার উদ্যোক্তা মওলানা ভাসানী ছিলেন না। এর পেছনে ছিল টাঙ্গাইল জেলার বাকশাল, ছাত্রলীগ এবং সরকারি প্রশাসন। মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেও কলেজের প্রবেশপথে তোরণ নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু সন্তোষে তেমন কিছু হয়নি। মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে ‘সংবর্ধনা’ জানিয়েছিলেন অত্যন্ত অনাড়ম্বর পরিবেশে, বুকে জড়িয়ে ধরে, ‘বিপুলভাবে’ নয়। এবং সেটাই ছিল তাদের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক। সন্তোষ থেকে তারা কাগমারী কলেজে গেছেন, অনুষ্ঠান শেষে আবার ফিরে এসেছেন সন্তোষে। বঙ্গবন্ধু দুপুরে মওলানা ভাসানীর সঙ্গে আহার করেছিলেন। সরকারিভাবে কোনো খাবার আসেনি সেদিন, মওলানা ভাসানীর নির্দেশানুসারে টাঙ্গাইলের আদালতপাড়ায় ভাসানীভক্ত ব্যবসায়ী শেখ মোহাম্মদ সুলতানের বাসায় তার খাবার তৈরি হয়েছিল এবং তখনো কলেজ ছাত্র এই লেখকের ওপর ছিল সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব। ভ্যানগাড়িতে ড্যাক বা ডেকচি ভরে মোরগ পোলাও এবং দুধের পায়েশসহ খাবার গিয়েছিল টাঙ্গাইল শহর থেকে।

বাকশাল প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে টাঙ্গাইল সফরকালে বঙ্গবন্ধু সেবার ‘বিপুলভাবে’ সংবর্ধিত হয়েছিলেন সত্য, কিন্তু একটু আগেই বলেছি, সে আয়োজনের পেছনে ছিলেন জেলার মুজিব সমর্থকরা। সঠিক ইতিহাসের স্বার্থে প্রসঙ্গত বিশেষভাবে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকীর কথা উল্লেখ করতে হয়। টাঙ্গাইল জেলার প্রবেশদ্বারে কাদের সিদ্দিকী প্রথম তার নেতাকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে সরকারি গাড়ি থেকে নামিয়ে বঙ্গবন্ধুকে তুলে নিয়েছিলেন তার নিজের খোলা জিপে। এই খোলা জিপে চড়েই বঙ্গবন্ধু সেদিন টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করেছিলেন। তার দুপাশে ছিলেন কাদের সিদ্দিকী এবং লতিফ সিদ্দিকী, বাকশালের অন্য কোনো নেতা পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাননি। বঙ্গবন্ধুর এই সফরের প্রতিটি পর্যায়ে কাদের সিদ্দিকী তার সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন এবং আমার জানামতে, তোরণ নির্মাণ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন পর্যন্ত সব ব্যাপারে তিনিই সেবার প্রধান উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব পরবর্তীকালে কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইল জেলার প্রথম গভর্নর হিসেবে নিযুক্তি দিয়েছিলেন।

বর্ণিত ঘটনাবলির আলোকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাকশালকে মওলানা ভাসানী ‘আশীর্বাদ’ জানাননি এবং তোরণ নির্মাণসহ যে ‘বিপুল’ সংবর্ধনার কথা বলা হয়েছে, তারও উদ্যোক্তা ছিলেন কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইল জেলার মুজিব সমর্থকরা, মওলানা ভাসানী নন। এ কারণেই ‘শ্রদ্ধাভাজন’ হিসেবে বর্ণিত মওলানা ভাসানীর বাকশালবিরোধী সমালোচনাও অসংগত বা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় ছিল না। আর তাই বিষয়টি নিয়ে কারো ‘অপ্রিয় সত্যভাষণ’ করার মতো কষ্ট স্বীকারেরও কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই—যা জনা কয়েক বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক করেছেন।

নিবন্ধের সমাপ্তি টানার আগে সঠিক ইতিহাসের কয়েকটি তথ্যের উল্লেখ করা দরকার— ১. প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিব প্রায় নিয়মিতভাবেই সন্তোষে যাতায়াত করতেন। তবে করতেন গোপনীয়তা বজায় রেখে; ২. বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল ‘পিতার মতো’ নেতা মওলানা ভাসানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দেশের অবস্থা নিয়ে আলোচনা-পরামর্শ করা; ৩. ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু সন্তোষে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আর  সে সফরের উদ্দেশ্য ছিল কাগমারীতে অবস্থিত মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের সরকারীকরণ; ৪. মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুর সংবর্ধনার জন্য বিশেষ কোনো আয়োজন করেননি। সব আয়োজনের পেছনে প্রধান ভূমিকা ছিল কাদের সিদ্দিকীসহ বাকশাল তথা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের; এবং ৫. ‘পিতার মতো’ নেতা মওলানা ভাসানী বাকশালের প্রতি সমর্থন জানাননি। তিনি বরং ‘পুত্রের মতো’ নেতা বঙ্গবন্ধুকে তার সম্ভাব্য মর্মান্তিক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, মওলানা ভাসানীর সেদিনের আশঙ্কা সত্যে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজনরাই তাকে হত্যা করেছিল।

এসব বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পরবর্তী কোনো নিবন্ধে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা রইল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!