• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রীর দাবি, মুসলিম যুবককে হিন্দুত্ববাদীরা মারেনি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৫, ২০১৯, ১২:০২ পিএম
মন্ত্রীর দাবি, মুসলিম যুবককে হিন্দুত্ববাদীরা মারেনি

ঢাকা: সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ডে চোর অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে তাবরেজ আনসারি নামের এক মুসলিম যুবককে। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ বলতে বাধ্য করা হয়। পরে মারাত্মক আঘাত ওই ‍যুবক মারা যান।

তীব্র সমালোচনার মুখে ঝাড়খণ্ডের শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রশেখর প্রসাদ সিং মঙ্গলবার দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো জড়িত নয়।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, রাজ্য সরকার বরখাস্ত করেছে দু’জন পুলিশকে।

ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ড সরকার। এরই মধ্যে নিহত তাবরেজ আনসারির স্ত্রীকে সরকারি চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছে পরিবার।

১৮ জুন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁয়া জেলার ধক্তিদি গ্রামে মোটরবাইক চোর সন্দেহে তাবরেজকে ১৮ ঘণ্টা ধরে পেটায় এক দল উগ্রবাদী। এক ভিডিওতে দেখা যায়, বেধড়ক মারতে মারতে ল্যাম্পপোস্টে বাঁধা ওই যুবককে তারা ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বলছে।

চন্দ্রশেখরের দাবি, গণপিটুনির এই ধরনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে বিজেপি, আরএসএস, ভিএইচপি, বজরং দলকে জুড়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ সব ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। তার মতে, এখন কাট অ্যান্ড পেস্টের যুগ। কে, কোথায়, কোন কথা বসিয়ে দেবে— বলা মুশকিল।

এদিকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির টুইটারে বলেন, ‘‘গণপিটুনির ক্ষেত্রে প্রায় সব ক্ষেত্রেই চেনা ছক হলো, প্রথমে একজন মুসলিমকে খুন করছে গো-প্রেমীরা। পরেই বলা হচ্ছে— মনে হচ্ছিল, ওই লোকটি কাছে গোমাংস রাখা ছিল। কিংবা লোকটি চুরি করেছিল অথবা স্মাগলিংয়ে যুক্ত। ‘লাভ জিহাদ’-এর অদ্ভুত যুক্তিও দেওয়া হয়ে থাকে।’’

তাবরেজের পরিবারের অভিযোগ, অনেক আবেদনের পরেও ওই যুবকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। এমনকি, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাদের দাবি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন তাবরেজ।

তবে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!