• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মশলার বাজার গরম


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৩১, ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম
মশলার বাজার গরম

ঢাকা : ঈদের বাকি আর সপ্তাহখানেক। রাজধানীর মশলার বাজারে এরই মধ্যে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। সঙ্গে বেড়েছে মশলার উত্তাপ। ঈদের সময় তুলনামূলকভাবে চাহিদা বাড়ে মশলার। এ সুযোগে দামও বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন রাজধানীর মশলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে এলাচের দাম কেজিতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। কয়েকদিন আগে যে এলাাচ বিক্রি হতো ২৪০০ টাকায়, এখন তা ২৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজিতে এলাচ বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে এবার জয়ত্রী ও পেস্তা বাদামের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

বুধবার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার এবং কারওয়ানবাজার ঘুরে মশলার বাড়তি দামের বিষয়টি নজরে আসে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মশলা ব্যবসায়ী রহমান মিয়া বলেন, মশলার আমদানি শুল্ক বেড়েছে। আমাদের খরচ বাড়লে পণ্যের দামের ওপর সে প্রভাব পড়ে। পাইকারি থেকে খুচরা সবখানেই দাম বেড়ে যায়। মশলা কিনতে আসা আতাউর রহমান বলেন, মশলার দাম বাড়ায় আমরা সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছি। যে কোনো উৎসব এলেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মশলার দাম বাড়িয়ে দেন বলে মত তার।

কারওয়ানবাজারের মশলা ব্যবসায়ী এরাইট স্টোরের মালিক আবদুল খালেক বলেন, বেশির ভাগ মশলার দাম এবার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এলাচ, জয়ত্রী ও পেস্তা বাদামের দাম কিছুটা বাড়তি। এসব পণ্যের দাম ঈদ উপলক্ষে বাড়েনি। মশলার আমদানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন, আমাদের এখানে এলাচের বড় অংশ আমদানি করা হয় কুয়েত থেকে। সেখানে এলাচের ফলন কম হওয়ায় এবার এলাচের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে জয়ত্রী ও পেস্তা বাদামও এবার কম এসেছে। ফলে দাম একটু বেড়েছে।

ঈদের বাজার করতে আসা রওশন আক্তার বলেন, ঈদের সময় যেহেতু স্পাইসি খাবার বেশি রান্না করা হয়, তাই মশলার চাহিদা একটু বেশি থাকে। তবে মশলা কিনতে এসে দেখি দাম গত মাসের চেয়ে অনেক বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণে যতটুকু কিনতে চেয়েছিলাম তার চেয়ে একটু কম কিনতে হচ্ছে। সরকারের নজরদারি থাকলে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারতেন না বলেও মনে করেন তিনি।

টাউনহলের ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত মশলার মজুদ আছে। ঈদকে সামনে রেখে মশলার কোনো সংকট হবে না। মশলার দাম ঈদের আগে আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

বর্তমান বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি জয়ত্রী ২৪০০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ১৯০০ থেকে ২১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭০০ টাকা, দারুচিনি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, জিরা ৩২০ থেকে ৩২০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ৭০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৫০০ টাকা, জয়ফল ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা, কিসমিস ৩০০ থেকে ৩৭০ টাকা, আলুবোখারা ৩৩০ টাকা, পোস্তদানা ৯৮০ থেকে ১১৫০ টাকা, কাঠবাদাম ৭৫০ টাকা, কাজুবাদাম ৯০০ টাকা ও চিনাবাদাম ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যেসব মশলার দাম বেড়েছে, ক্রেতারা যদি সেগুলো একটু কম কেনেন, তাহলে এসব পণ্যের দাম কমে যাবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কথায় আছে, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অবস্থা ঠিক ওই রকমই। যারা শুধু লাভের পেছনে ছোটেন, তারা তো ভোক্তার কথা চিন্তা করবেন না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!