• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
পাক-ভারত উত্তেজনা

মহাসড়কে যুদ্ধবিমান অবতরণের মহড়া চালাল পাকিস্তান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১৯, ২০১৯, ০১:৫৯ পিএম
মহাসড়কে যুদ্ধবিমান অবতরণের মহড়া চালাল পাকিস্তান

ঢাকা : পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) যুদ্ধবিমানগুলো মহাসড়কে অবতরণ এবং উড্ডয়নের মহড়া চালিয়েছে। দেশটির কয়েকটি স্থানের মহাসড়কে এ মহড়া চালানো হয়েছে। এ ছাড়া অবতরণের পর যুদ্ধবিমানগুলোতে জ্বালানি ভরা হয়েছে এবং আকাশ যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। অবশ্য, পাক-ভারত উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন এ মহড়া চালানো হলো।

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে একে বিমানক্ষেত্রের বদলে বিকল্প স্থানে অবতরণ এবং উড্ডয়ন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

উচ্চমাত্রার বিমান তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে পিএএফের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য এ অনুশীলন করার কথা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী মুরাদ সাঈদসহ সামরিক এবং বেসামরিক অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মহড়া প্রত্যক্ষ করেছেন।

এদিকে, পিএএফের সাবেক এয়ার কমোডোর জামাল হোসেইন দেশটির একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে আলাপকালে জানান, পাক বিমান বাহিনী মাঝে মাঝেই এ ধরণের অনুশীলন চালিয়ে থাকে।

বিকল্প অবতরণ হিসেবে অভিহিত করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সামরিক ঘাঁটির বিমানক্ষেত্র ব্যবহার করা সম্ভব না হলে তার প্রস্তুতি হিসেবে এমন মহড়া চালানো হয়।

তিনি আরো জানান, ১৯৮০’এর দশকে পশ্চিমা বিমান বাহিনীতে বিকল্প অবতরণ এবং উড্ডয়নের ধারণার জন্ম হয়। প্রয়োজনের সময়ে যে সব স্থানকে বিকল্প বিমানক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে তা চিহ্নিত করতে শুরু করে তারা। সোজা এবং লম্বা সড়ককে কেন্দ্র করে এ ধারণার সৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, গোটা দুনিয়াতেই বিকল্প ক্ষেত্রে অবতরণ এবং উড্ডয়নের অনুশীলন চালানো হয়। এটি এখন গৎ বাঁধা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সুইডেনে এ বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিকল্প উড্ডয়নের জন্য কমপক্ষে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সোজা সড়ককে বেছে নেয়া হয়। বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ধরণের সড়কের পাশে জ্বালানি ট্যাংক এবং অস্ত্র গুদাম স্থাপন করা হয়। ব্যস যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় বিকল্প বিমানক্ষেত্রে এ ভাবেই তৈরি হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া, শান্তির সময়ে জরুরি অবতরণের জন্য এ ধরনের স্থানকে ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এ জন্যেই প্রতি দুই থেকে তিন মাস পরপর পাক বিমান বাহিনী বিকল্প অবতরণ এবং উড্ডয়ন সংক্রান্ত মহড়া চালায়। অবশ্য, গত ছয় মাসে এ ধরণের মহড়ার কোনো খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি এবং সে সম্পর্কে কিছু বলেননি পাক বিমান বাহিনীর এ সাবেক কর্মকর্তা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!