• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘মা’ ইলিশ নিধনে বেপরোয়া জেলেরা, রক্ষায় মরিয়া প্রশাসন


ঝালকাঠি প্রতিনিধি অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম
‘মা’ ইলিশ নিধনে বেপরোয়া জেলেরা, রক্ষায় মরিয়া প্রশাসন

রাজাপুরা (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির রাজাপুরে নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘মা’ ইলিশ নিধনে জেলেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, উপজেলা প্রশাসন ‘মা ইলিশ নিধন রক্ষায় মরিয়া রয়েছে।

উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৯ অক্টোবর থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে অসাধু জেলেদের সাথে পেরে উঠছেনা। জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মা ইলিশ নিধন করে যাচ্ছে। 

এদিকে, বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট এলাকার বিষখালী নদীর অপর প্রান্তে নলছিটি উপজেলার গজালিয়া, বাদামতলা এলাকার নদী সম্পুর্ন অরক্ষিত রয়েছে। ফলে ঐ এলাকার জেলেরা উৎসব করে দিন-রাত সমান তালে মা ইলিশ নিধন করে যাচ্ছে। যা দেখে রাজাপুর উপজেলার জেলেরা সহ স্থানীয় জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  প্রশাসন এখানকার জেলেদের মাছ শিকার থেকে বিরত রাখছে। অথচ নলছিটি প্রশাসন নদীর দিকে নজর দিচ্ছেনা ফলে ওখানকার জেলেরা দিন রাত সমান তালে শিকার করছে।

অভিযোগ রয়েছে, নলছিটি উপজেলার গজালিয়া, বাদামতলা এলাকার জেলেরা নিয়ামতি নৌ-পুলিশদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে প্রতিদিন মাছ শিকার করছে। নদীতে জোয়ার শুরুর আগমূহুর্ত ও ভাটার আগমূহুর্ত জাল ফেরার মুল সময়। কিন্তু নৌ-পুলিশ ঠিক এই দুই সময় গজালিয়া, বাদামতলা এলাকার জেলেদের সুযোগ করে দিয়ে বাকি সময় লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে আসছে। 

এদিকে, মাছ ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতি বছরের থেকে এ বছর নতুন কৌশল অবলম্বন করছে দালাল চক্ররা। এলাকায় বসে তাদের সিন্ডিকেটের বাহিরে কেউ মাছ ক্রয়-বিক্রয় করেনা বলেই চলে। মাছ পরিবহনে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। মাছ বহনের ক্ষেত্রে স্থল পথের চেয়ে জল পথেই বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজাপুর উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রতিটি রাস্তায় প্রশাসনের লোকদের পাহারা দিতে জেলে ও মাছ ক্রয়-বিক্রয় সিন্ডেকেটের নিজেস্ব গোয়েন্দা রয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রশাসনের লোকজনের অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিয়ে তারা নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে তারা রয়ে যায় দরা ছোয়ার বাহিরে। উপজেলার মঠবাড়ি ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিষখালী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

এছাড়াও টাকার বিনিময় রাজাপুর উপজেলা মৎস্য অফিস অভিযানের সময় তথ্য বা তাদের অবস্থান সরাসরি জেলেদের কাছে পৌছে দিচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। 

নলছিটি উপজেলার গজালিয়া, বাদামতলা সংলগ্ন বিষখালী নদী সম্পুর্ন অরক্ষিত বিষয়ে নলছিটি উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রি কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে জানান, ঐ স্থানে মোল্লাহাট ফারি পুলিশের সহায়তায় মা ইলিশ রক্ষায় তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

টাকার বিনিময়ে জেলেদের মাছ শিকারে সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়ামতি নৌ-পুলিশের মোঃ রেজাউল করিম জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা আমরা কঠোর পরিশ্রম করে থাকি। যাদের স্বার্থে লাগে তারাই এরকম অভিযোগ তুলতে পারে। আমাদের ধারা এ রমক হওয়াটা মোটেই সম্বভ নয়। 

ইলিশ রক্ষা অভিযানের বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অভিযান চালিয়ে আমার একার পক্ষে মা ইলিশ রক্ষা করা কঠিন। সবার সহযোগীতা প্রয়োজন। সকলের সহযোগীতা পেলে অভিযান স্বার্থক হবে রক্ষা পাবে মা ইলিশ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!