• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মা-মেয়েকে অচেতন করে গণধর্ষণ


পটুয়াখালী প্রতিনিধি      জুন ১২, ২০১৬, ০৮:০৩ পিএম
মা-মেয়েকে অচেতন করে গণধর্ষণ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক মা ও তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায়  ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে বাউফল থানায়।

ভুক্তভোগী মা ও মেয়েসহ আটক অভিযুক্তকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী জানান, উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সনাতন ধর্মাবলম্বী এক দর্জি কারিগরের স্ত্রী (৩৫) ও তাঁর মেয়ে (১৭) শনিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে সোহেল নামে এক যুবক পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাঁদের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে মুখে স্প্রে করেন। 
একপর্যায়ে মা ও মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাদের কালাইয়ার শৌলা পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মা-মেয়েকে নিমতিঘাট থেকে ট্রলারে উঠিয়ে রাত ১০টায় কেশবপুর ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া চরে নেয়া হয়। ট্রলারে আগে থেকে থাকা পাঁচজন যুবক মোটরসাইকেল চালক সোহেলের সহযোগিতায় মা-মেয়েকে গণধর্ষণ করে। হঠাৎ চেতনা ফিরলে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু নূর আলম নামে একজনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে জনতা। পরে নূর আলম ও মা-মেয়েকে তালতলী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাবলু জানান, বাউফল থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত ১২টায় তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিন বোনের মধ্যে সে বড়।

বাউফল থানার পুলিশ জানায়, স্ত্রী-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে  ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন দর্জি কারিগর। আসামি নূর আলমকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার বাড়ি নাজিরপুর ইউনিয়নে। এ ছাড়া ভিকটিমদের জবানবন্দি নেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!