• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাটি ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যা, তিনজন গ্রেপ্তার


রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম
মাটি ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যা, তিনজন গ্রেপ্তার

ছবি : সোনালীনিউজ

নারায়ণগঞ্জ : জেলার রূপগঞ্জে রফিকুল ইসলাম (৩৮) নামের এক মাটি ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের দুয়ারা পুটিনা এলাকার একটি ইটভাটা থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার শাহজাহান সিরাজের ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার পাটখিল থানার আমানউল্লাহপুর এলাকার হাকিম সরদারের ছেলে মোতালিব মিয়া, তালা থানার কলাপোতা এলাকার আমাল দাসের ছেলে পিন্টু দাস ও দাউদপুর খাসকামালকাঠি এলাকার সাহের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর। গ্রেপ্তারকৃতরা দুয়ারা পুটিনা এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় ইটভাটায় কাজ করে আসছেন।

ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল আলম জানান, দুয়ারা পুটিনা এলাকার এমএবি ব্রিক ফিল্ড নামের একটি ইটভাটার একটি ঘরে তালাবন্ধ অবস্থায় মাটি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তালাবন্ধ ওই ঘরটি থেকে তালা ভেঙ্গে লাশটি উদ্ধার করে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রফিকুলের গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল। ধারনা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাতের যে কোন সময় তাকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর গুমের উদ্দেশে এখানে ফেলে রেখে গেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতি দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা করা যায়।  নিহত রফিকুল ইসলামের ভাই রিপন মিয়া জানান, তার ভাই রফিকুলের মাটির ব্যবসার পাশাপাশি মুদিমনোহরী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি সরবরাহের পাশাপাশি ভাটা শ্রমিকদের মাঝে বাকিতে মুদিমনোহরী মালামালও দিয়ে থাকেন। বেশ কয়েক জন শ্রমিমের কাছে টাকাও পায় রফিকুল। সোমবার মধ্যে রাতে কয়েক জন এসে রফিকুলকে মুদিমনোহরী দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় রফিকের সাথে প্রায় লক্ষাধীক টাকাও ছিল।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এমএবি ব্রিক ফিল্ড নামের ইটভাটার মালিক সৈয়দ রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ইটভাটার ভেতর থেকে একটি ঘর ভাড়া নেন নিহত রফিকুল ইসলাম। আর ওই ভাড়া ঘরটি সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ভাটা শ্রমিকদের সরদারকে বুঝিয়ে দেন নিহত রফিকুল। আর সাখাওয়াত হোসেন মাঝে মাঝে ওই ঘরে থাকতো। এ ছাড়া সাখাওয়াতসহ গ্রেপ্তারকৃত ওই তিনজনের সঙ্গে নিহত রফিকুল ইসলামের মুদিমনোহরী মালামাল সংক্রান্ত লেনদেনও ছিল। আর ওই ঘরেই রফিকুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়।

লেনদেন সংক্রান্তের ঘটনায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত রফিকের বাবা শাহজাহান সিরাজ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!